রাজীব গান্ধী হত্যাকারীদের ফাঁসি রদ, যাবজ্জীবন
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন ব্যক্তির ফাঁসি হচ্ছে না। আজ বুধবার রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের ফাঁসি রদের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তবে অভিযুক্ত ওই তিন ব্যক্তি মুরুগান, সান্থান ও পারারিভালানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ বহাল রেখেছেন শীর্ষ আদালত।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজীব গান্ধীর তিন হত্যাকারীর ফাঁসি রদ করে যাবজ্জীবনের সাজা দেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এই তিন হত্যাকারীর ফাঁসি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন অবশ্য কেন্দ্রের সেই আরজি খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেন, ১১ বছর সময় লেগেছিল তাঁদের ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদনে সাড়া দিতে, যা চূড়ান্তভাবে ন্যায়বিরুদ্ধ। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে কেন্দ্র যাতে সঠিক সময়ে মার্সি পিটিশন উল্লেখ করেন, সেই নির্দেশও দেন বিচারপতি ৷
গত সপ্তাহেই শীর্ষ আদালতে পিটিশন দাখিল করে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীদের কোনোভাবেই নরম মনোভাব দেখিয়ে শাস্তি মওকুফ করা যাবে না। এর মধ্যেই তামিলনাড়ু সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছিল রাজীব হত্যায় অভিযুক্ত সাতজনের সাজা মওকুফ করা হোক। তামিলনাড়ু সরকারের সেই আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন করেন আইনজীবী জেনারেল রঞ্জিত কুমার। তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হয়েছিল এবং এই হত্যার চক্রান্তে যুক্ত ছিল ভারতীয় ছাড়াও বেশ কিছু বিদেশি। হত্যাকারীদের প্রতি কোনোভাবেই কোনো নরম মনোভাব বা ক্ষমা প্রদর্শন দেখানো উচিত নয়।’
বিচারকদের ওই বেঞ্চে ছিলেন প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু, বিচারপতি ফকির মহম্মদ ইব্রাহিম কালিফুল্লাহ, বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ, বিচারপতি অভয় মনোহর সাপ্রে এবং বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত। রাজীব হত্যাকারী মুরুগানের পক্ষে অংশ নেন আইনজীবী রাম জেঠমালানি এবং তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষে অংশ নেন রাকেশ দ্বিবেদি।
১৯৯১ সালে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে মানব-বোমার হামলায় নিহত হন রাজীব গান্ধী। ওই ঘটনা ১৮ জন নিহত হন, আহত হন প্রায় ২০০ জন।