মিয়ানমারকেই সমর্থন জানাল চীন

Looks like you've blocked notifications!

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কোনো কাজে আসছে না বলে মন্তব্য করেছেন চীনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, রাখাইনে স্থিতিশীলতা আনতে মিয়ানমার সরকারের ওপর সমর্থন রয়েছে চীনের।

রাখাইনে চলমান সহিংসতার মধ্যেই আজ শনিবার চীনের ওই কর্মকর্তা এমন মন্তব্য করলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে সহিংসতার শিকার হয়ে গত ২৫ আগস্ট থেকে পৌনে ছয় লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

জাতিসংঘ মিয়ানমারের এই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ অভিযান বলে আখ্যায়িত করেছে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছেন।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের উপপ্রধান গুও ইয়াঝু বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় চীন নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মিয়ানমার সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিচ্ছে।

ইয়াঝু বলেন, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। চীন বিশ্বাস করে যে রাখাইনে সৃষ্ট পরিস্থিতি মিয়ানমার নিজেই সামাল দিতে পারবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়ে চীনের ভূমিকা ভিন্ন এমন বিষয়ে ইয়াঝু বলেন, চীন তার নীতি অনুযায়ী কখনোই অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।

‘সম্প্রতি একটি দেশের ওপর অন্য দেশের হস্তক্ষেপের ঘটনা আমরা দেখছি, কিন্তু আমরা এমনটি করব না’, বলেন ইয়াঝু। তিনি বলেন, রাখাইনে অস্থিতিশীলতা চলুক চীন সেটি কখনোই চায় না।

ইয়াঝু বলেন, ‘আমরা সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নিন্দা জানাই।’

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের মংডু জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার জেরে রোহিঙ্গাদের গ্রামে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের ধর্ষণ হত্যাসহ তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে রোহিঙ্গারা।

এদিকে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকার কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র।