রোহিঙ্গাদের ২৮৮টি গ্রাম ভস্মীভূত

Looks like you've blocked notifications!

নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা মুসলিমদের ২৮৮টি গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। স্যাটেলাইট মাধ্যমে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে তাঁরা বলছেন, ২০১৭ সালের আগস্টের পর উত্তর রাখাইনে আগুনে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক পুড়ে গেছে অন্তত ২৮৮টি গ্রাম। কিন্তু মুসলিম গ্রামের পাশের বৌদ্ধ অধ্যুষিত গ্রামগুলো আবার অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। 

গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রতিদিন নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে ভিড় করছে রোহিঙ্গা সদস্যরা। গত সাত সপ্তাহে এ নিয়ে এক মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদি’ উদাহরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ২৫ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মংডুর শহরতলিতে। সবচেয়ে বেশি গ্রাম ধ্বংস হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বরের পর। তখন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি বলেছিলেন, সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শেষ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ছয় লাখ শরণার্থী এখন বাস করছে কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন শিবিরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় শিবির কুতুপালংয়ের পরিধি আগস্টের পর বাড়ানো হলেও আশপাশে অস্থায়ী শিবিরগুলোতে এখন রয়েছেন প্রায় তিন লাখ ১২ হাজার শরণার্থী।

সর্বশেষ এ সপ্তাহে প্রায় ১৫ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকেছে। তাঁরা বলছেন, রাখাইনে তাঁদের ঘরবাড়ি জ্বালানো বন্ধ হলেও তাঁদের ওপর নির্যাতন ও ধর্ষণ এখনো অব্যাহত আছে। তাঁরা বিবিসিকে বলেছেন, রোজগারের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ছাড়া তাঁদের আর কোনো গতি নেই।