সৌদি আরবে ধরপাকড়ের আওতা বাড়ছে

Looks like you've blocked notifications!

সৌদি আরবে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে আটক করা হয়েছে দেশটির বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিকে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন রাজপরিবারের সদস্য, মন্ত্রীরাও। সৌদির বিবেচনায় দুর্নীতিগ্রস্ত রাঘববোয়ালদের লাগাম টেনে ধরতে আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। 

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় পর্যটন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নাসের বিন আকিল আল-তায়ারকে আটক করা হয়। ভবিষ্যতে এমন অনেককেই আটক করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন। 

এর আগে সৌদি আরবের ১১ প্রিন্স, চার মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দুর্নীতির দায়ে আটক করা হয়। 

এর আগে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা দেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। এর পর থেকে শুরু হয় ধরপাকড়। জব্দ করা হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এমনকি কিছু ব্যক্তির তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যাঁদের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। 

এ বিষয়ে সৌদি আরবের দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান খালিদ বিন আবদুল মোহসেন আল-মেহাইসেন জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে  দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। 

সৌদি আরবে দুর্নীতি দমন অভিযান বর্তমানে ‘প্রথম ধাপে’ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ আল-মোজেব। তিনি বলেন, শনিবারের ধরপাকড়ে কেবল প্রথম ধাপ। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

সৌদি আরবের বিভিন্ন বিমানবন্দরে কড়া নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্র। সরকারি অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত বিমানে কেউ দেশত্যাগ করতে পারবে না বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তিদের নামের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে।