ট্রাম্পেরও বিশ্বাস, উত্তর কোরিয়ার সমাধান আছে

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : রয়টার্স

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বিশ্বাস করেন, উত্তর কোরিয়ায় পারমাণবিক বোমা নিয়ে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তার সমাধান আছে।

আজ বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনা পাওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখনই ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্টকে এ কথা বলেন।

এ সময় ট্রাম্প চীনের নেতাকে আরো বলেন, বিগত সময়ে মার্কিন প্রশাসন চীনের সঙ্গে শৃঙ্খলাহীন বাণিজ্য পরিচালনা করেছে। কিন্তু আমরা উভয় দেশ লাভবান হয় এমন বাণিজ্য চালু করব।

এর আগে পাঁচ রাষ্ট্র সফরে বের হওয়া ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তব্যে পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে চুক্তিতে আসতে উত্তর কোরিয়াকে তাগিদ দিয়েছিলেন। সে সময় উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ার করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমাদের সঙ্গে লাগতে এসো না।’

বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে ও দেশটির ওপর চাপ বাড়াতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষে বেইজিংয়ে যান ট্রাম্প। সেখানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে তাঁকে স্বাগত জানান চীনের কর্মকর্তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরকে ‘রাষ্ট্রীয় সফরের বেশি কিছু’ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

৫ নভেম্বর জাপান সফরের মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ১২ দিনের এশিয়া সফর শুরু হয়। গত ২৫ বছরের মধ্যে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এত দীর্ঘ সফরে বের হলেন। জাপানের পর তিনি দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। চীন সফর শেষে তিনি ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনে যাবেন। 

এশিয়া সফরে ট্রাম্পের আগামী কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে :

১০ নভেম্বর : চীন ভ্রমণের পর ট্রাম্প এদিন পৌঁছাবেন ভিয়েতনামে। দেশটির দানাং শহরে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি।

১১ নভেম্বর : দানাং থেকে ট্রাম্প ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় শহরে যাবেন। আলোচনায় বসবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রান দাই কুয়াং ও অন্য নেতাদের সঙ্গে।

১২ নভেম্বর : সফরের শেষ দেশ হিসেবে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্রবেশ করবেন ট্রাম্প। সেখানে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক গালা ডিনারে অংশ নেবেন।

১৩ নভেম্বর : ম্যানিলায় আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নেবেন ট্রাম্প। এরপর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের এশিয়া সফর শেষ হবে।

এর আগে ১৯৯১ ও ১৯৯২ সাল মিলিয়ে এমন দীর্ঘ সময় নিয়ে এশিয়া সফরে যান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। তবে সেবার জাপানে একটি ভোজ চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন বুশ।