হিরোশিমায় পরমাণবিক বোমা হামলার ৭০তম বর্ষপূর্তি

Looks like you've blocked notifications!
হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল পার্কে বেদিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণবিক বোমা হামলায় নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ছবিটি আজ ৬ আগস্ট-২০১৫, বৃহস্পতিবার তোলা। ছবি : রয়টার্স

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা শহরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান থেকে পরমাণবিক বোমা হামলার ৭০তম বর্ষপূর্তি আজ। স্মরণকালের এই ভয়াবহ হামলায় নিহতদের স্মরণ করছে জাপান।

দিনটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্মরণোৎসব। বিশেষ প্রার্থনার পর হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল পার্কে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেসহ জমায়েত হন ৪০ হাজার মানুষ। যে জায়গায় বোমাটি ফেলা হয়, তার অদূরে মতোয়াসু নদীর তীরে অবস্থিত পার্কে নিহতদের স্মৃতিতে নির্মিত বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। 

আবে বিশ্বব্যাপী পরমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পরমাণবিক বোমা হামলা শিকার একমাত্র দেশ হিসেবে পরমাণবিক অস্ত্র বর্জনে চাপ সৃষ্টি করা জাপানের একটি বড় দায়িত্ব।’ এ সময় হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিশ্বনেতাদের প্রতি পরমাণবিক অস্ত্রবিহীন পৃথিবী নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। 

১৯৪৫ সালের এই দিনে স্থানীয় সময় ৮টা ১৫ মিনিটে জাপানের হিরোশিমা শহরে মার্কিন বোমারু বিমান এনোলা গে থেকে ‘লিটল বয়’ নামে বোমাটি ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। ৬০০ মিটার (১ হাজার ৮০০ ফুট) ওপর থেকে ফেলা এই বোমায় নিহত হয় শহরটির এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ। এর তিনদিন পর ৯ আগস্ট পাশের শহর নাগাসাকিতে ফেলা হয় ‘ফ্যাট ম্যান’ নামের আরেকটি পরমাণবিক বোমা। এই শহরের অধিবাসীরা এখনো বোমার তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব বয়ে বেড়াচ্ছে। হিরোশিমায় হামলার দিনেই ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়। পরবর্তী কয়েক মাসে তেজস্ক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বাকিরা মারা যায়। 

বিবিসির খবরে বলা হয়, হিরোশিমায় যে সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে ওই স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে জাপানজুড়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভের ওপর দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ানো হয়। ধূপকাঠি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করা হয়। পরমাণবিক বোমা হামলার শিকার এক ভবনের সামনে শিশুরা শবদেহ সেজে প্রতীকী প্রতিবাদ জানায়। পরে মতোয়াসু নদীতে কাগজের তৈরি হাজার হাজার প্রদীপ ভাসিয়ে দেওয়া হয়।