নীরবতা ভাঙার ডাককে স্বীকৃতি দিল টাইম

Looks like you've blocked notifications!
#Me Too শীর্ষক সামাজিক আন্দোলনকে বর্ষসেরার স্বীকৃতি দিয়েছে টাইম। ছবি : রয়টার্স

নারীর প্রতি সহিংসতা, হয়রানি, নির্যাতনরোধে ডাক দেয় কিছু মানুষ। একটি মাত্র চিহ্ণ আর একটি শব্দ ব্যবহার করে ওই প্রতিরোধের ডাকে শামিল হয় বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। নারীকে সাহস দেয় নীরবতা ভেঙে জবাব দেওয়ার। এই নীরবতার ভাঙার ডাককেই স্বীকৃতি দিল প্রভাবশালী সাময়িকী ‘টাইম‌‌’।

বছরের শেষ দিকে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ বা সেরা ব্যক্তিত্বের নাম ঘোষণা করেছে টাইম। তবে কোনো ব্যক্তি নন, ওই উপাধি গেছে ‘#MeToo’ এর কাছে! টাইমের চোখে, ওই চিহ্ন ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক হয়েছে বিশ্বের সব জায়গার অগণিত মানুষ। আর সবাই চান নীরবতা ভাঙতে। ‘আমিও’ জানিয়ে নারীর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধের ওই ডাকে সাড়া দিয়েছে বহু মানুষ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি বছর ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’-এর মাধ্যমে গড়ে ওঠা সামাজিক আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিয়েছে টাইম। চলতি বছর ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে #MeToo ব্যবহার করে ওই প্রতিরোধের ডাকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আমাদের দেশের মানুষও ওই প্রতিরোধের ডাকে সাড়া দেয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ‘#আমিও’।

টাইমের প্রধান সম্পাদক এডওয়ার্ড ফেলসেনথাল জানান, গত কয়েক দশকে এটা সবচেয়ে দ্রুত গড়ে ওঠা সামাজিক পরিবর্তন। শতাধিক নারী ও কিছু পুরুষ নিজেদের কথা জানিয়ে শুরু করেছিলেন ওই কাজ। এডওয়ার্ড তাঁদের বলেন, ‘নীরবতা ভঙ্গকারী।’

এমন একটা সময় টাইম ওই স্বীকৃতি দিল, যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রখ্যাত একাধিক ব্যক্তি যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।

ওই হ্যাশট্যাগটি যিনি প্রথম করেন তাঁর নাম টারানা বার্ক। তিনি বলেন, ‘ভাবতেও পারিনি #MeToo এ রকম কিছু পরিবর্তন আনবে। আমি আমার সমাজটাকে বদলাতে চেয়েছি। এটা কেবল শুরু। এটা কোনো মুহূর্ত নয়, এটা একটা আন্দোলন। এখন কাজটা সত্যিকারভাবে শুরু হলো।’

ওই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই আছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।