সনদ আসছে না, তাই নবজাতকের লাশ ফ্রিজে!

Looks like you've blocked notifications!

ফ্রিজের দরজায় লেখা, ‘স্পর্শ করবেন না।’ ওই ফ্রিজের ভেতরে ছিল এক নবজাতকের লাশ। ডায়াপারে মোড়ানো অবস্থায়! 

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে ঘটেছে এ ঘটনা। দেশটির রাজধানী লিমার এক বাসার ফ্রিজে রাখা ছিল নবজাতকের লাশ। ওই নবজাতকের মায়ের দাবি, মৃত্যুসনদ ছাড়া কবর দেওয়া যাবে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত শিশুটিকে দিলেও মৃত্যুর সনদের জন্য অপেক্ষা করতে বলে। ততক্ষণ ওই শিশুকে ফ্রিজে রাখা ছাড়া কিছু করার ছিল না তাঁর! 
আর এ কারণেই নবজাতকের গন্তব্য হয় ঘরের ফ্রিজে!

এনডিটিভি জানায়, গত শনিবার মনিকা পালোমিনো নামের এক নারী ওই নবজাতকের জন্ম দেন। মাতৃগর্ভে মাত্র ২৫ সপ্তাহ থাকার পর জন্ম হয় ওই শিশুর। দুদিন পরই, অর্থাৎ সোমবারই মারা যায় ওই শিশু।

পালোমিনো মঙ্গলবার হাসপাতালে এসে অপেক্ষা করছিলেন নবজাতকের মৃত্যুসনদের জন্য! এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।  

লিমার সার্জিও বার্নালেস হাসপাতালে ওই শিশুর জন্ম হয়। পালোমিনো জানান, মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত শিশুটিকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেয়। এ কারণে তিনি নিয়ে আসেন। 

পালোমিনো বলেন, ‘তাঁরা (হাসপাতাল) আমাকে মৃত শিশুটি দিয়ে দেয়। ও আমার বাসার ফ্রিজে ছিল। কারণ, মৃত্যুর সনদ না পাওয়া পর্যন্ত আমি ওকে কবর দিতে পারছিলাম না।’ 

পালোমিনো বলেন, ‘আমি ওকে কবর দিতে চাই। কিন্তু আমার তো ওর মৃত্যুসনদটা প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘শিশুটিকে না নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হতে দিচ্ছিল না হাসপাতালের লোকজন।’

হাসপাতালের পরিচালক জুলিও সিলভা জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। কারণ, হাসপাতালের আইনকানুন ভাঙা হয়েছে।