লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আরসার
মিয়ানমারের রাখাইনে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। আজ রোববার সংগঠনটির নেতা আতা উল্লাহ টুইটারে এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আতা উল্লাহ বলেন, “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে লড়াই ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।”
গত বছর মিয়ানমারের বেশ কিছু সামরিক তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালায় আরসা। এরপর ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সেনাদের দমনপীড়ন, গণহত্যার মুখে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
আন্তর্জাতিক মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তাকারী মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, আগস্টে সহিংসতার পর থেকে অন্তত ছয় হাজার ৭০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
তবে গত নভেম্বরে অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর সেনাবাহিনী জানায়, নিহত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৪০০। তারা কোনো বেসামরিক নাগরিককে হত্যা, নারী ও শিশু ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রাখাইনে ফেরাতে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে তাদের কোথায় নেওয়া হবে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। শরণার্থী শিবিরে রাখা হবে নাকি নিজেদের ভিটেমাটিতে ফেরত পাঠানো হবে।
মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, গত শুক্রবার একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ২০ ‘চরমপন্থী বাঙালি সন্ত্রাসী’ হামলা চালায়। তাদের হাতে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।
বিবিসি জানায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আরসাকে ইসলামি সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন হিসেবে দেখে। তবে আরসা বলেছে, তাদের আন্দোলন রাজনৈতিক।