হজযাত্রায় ভর্তুকি তুলে নিলো ভারত সরকার

Looks like you've blocked notifications!

হজ যাত্রার ওপর থেকে সমস্ত ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিলো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

আজ মঙ্গলবার এই ঘোষণা করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। তিনি জানান, চলতি বছর থেকেই হজের ওপর দেওয়া সমস্ত ভর্তুকি তুলে নেওয়ার নিয়ম কার্যকর হচ্ছে।

প্রতিবছর হজ যাত্রা বাবদ ৭০০ কোটি রুপি ভর্তুকি দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। হজযাত্রীদের সুবিধার্থে এই ভর্তুকি চালু ছিল। কিন্ত ২০১২ সাল থেকে ভারতের কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমল থেকেই দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ২০২২ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে হজ যাত্রায় ভর্তুকি তুলতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের সেই রায়ের পর এক বিশেষ কমিটির মাধ্যমে প্রতিবছর ধাপে ধাপে কমানো হতে থাকে হজ যাত্রায় ভর্তুকির পরিমাণ। যেমন, ২০১৩ সালে হজ যাত্রার খাতে বরাদ্দ করা হয় ৬৮০ কোটি রুপি, ২০১৪ সালে বরাদ্দ হয় ৫৭৭ কোটি রুপি, ২০১৫ সালে বরাদ্দ হয় ৫২৯ কোটি রুপি এবং ২০১৬ সালে বরাদ্দ হয় ৪০৫ কোটি রুপি। এই বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার হজযাত্রায় ভর্তুকির পরিমাণ পাকাপাকিভাবে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নকভি জানান, এবার থেকে সংখ্যালঘু উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে হজ যাত্রার ভর্তুকির বরাদ্দ অর্থ ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রের নীতি হলো, সংখ্যালঘুদের তোষণ নয়, ক্ষমতায়ন। সংখ্যালঘুদের বিনা তোষণে উন্নয়নের লক্ষে সম্মানের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় মোদি সরকার। এবার থেকে হজযাত্রায় ভর্তুকির অর্থ নারী ও শিশু শিক্ষায় ব্যয় করা হবে। চলতি বছরে ভর্তুকি ছাড়াই এক লাখ ৭৫ হাজার হজযাত্রী ভারত থেকে হজযাত্রায় যাবেন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, যা এবারে রেকর্ড।

অন্যদিকে, হজযাত্রায় ভর্তুকি তুলে দেওয়ায় খুশি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এই সংগঠনের সদস্য কামাল ফরুকি জানান, হজে ভর্তুকি সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছিলো। মনে করা হচ্ছিলো, সরকার মুসলিমদের বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছিলো। যে ধারণা এবারে বন্ধ হয়ে যাবে।