মালদ্বীপে প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তারের পর পাল্টাল আদেশ

Looks like you've blocked notifications!

মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতিসহ দুই বিচারপতিকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরই বেঞ্চের বাকি বিচারপতিরা দেশটির বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির আদেশ বাতিল করে দিয়েছেন।

‘প্রেসিডেন্টের উত্থাপিত উদ্বেগের আলোকে’ সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ এক বিবৃতিতে এ আদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

বিরোধী দল ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ দ্বীপদেশটির সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ভারতের হস্তক্ষেপ কামনাসহ অন্যান্য দেশের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের আদালত সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদসহ নয়জন রাজনৈতিক নেতাকে একাধিক অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন এর বিরোধিতা করেন। নির্দেশ অমান্য করায় প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের মুখে ফেলার উদ্যোগ নেন আদালত।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের জরুরি অবস্থা জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ সাঈদ ও বিচারপতি আলি হামিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে সম্পর্কে গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদ বন্দিদের মুক্ত করতে, বিশেষ করে ভারতের হস্তক্ষেপ এবং আর্থিক লেনদেন কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানান।

‘সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি, তহবিল তছরুপ, রাষ্ট্রদ্রোহিতা’র অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদসহ নয় নেতাকে অভিযুক্ত করে দেশটির সরকার।

মোহাম্মদ নাশিদ মালদ্বীপের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তবে ২০১২ সালেই তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি শ্রীলঙ্কায় নির্বাসনে রয়েছেন।