রোহিঙ্গারাই বাড়ি পুড়িয়েছে, এটা অসম্ভব : বরিস জনসন

Looks like you've blocked notifications!

মিয়ানমারের বহুল আলোচিত রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। চার দিনের এশিয়া সফরের তৃতীয় দিন গতকাল রোববার তিনি সেখানে গেলে মিয়ানমার সরকার দাবি করে, রোহিঙ্গারা নিজেদের বাড়ি নিজেরাই পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে বরিস জনসন গণমাধ্যমকে বলেন, এভাবে নিজের বাড়ি নিজে পুড়িয়ে দেওয়া অসম্ভব।

গতকাল রোববার রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের আগে দেশটির নেত্রী ও নোবেলজয়ী অং সান সু চির সঙ্গে দেখা করেন বরিস জনসন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে আরো বলেন, সু চি রাখাইনের বীভৎসতা উপলব্ধি করতে পারছেন না।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের পরিবারের জন্যই যে কেউ বাড়ি তৈরি করে। তা নিজ হাতে পুড়িয়ে দেওয়া কখনই সম্ভব নয়।’

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে করণীয় নিয়ে মিয়ানমারে নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে কথা বলেন বরিস জনসন। এ সময় দেশটির সেনাদের নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দুর্বিষহ জীবনের চিত্র তুলে ধরে নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে তাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে সু চির প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

বরিস জনসন বলেন, ‘আমি নিজের চোখে রোহিঙ্গাদের দুর্বিষহ জীবনযাপন দেখেছি। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাজ্য তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

মিয়ানমারে যাওয়ার আগে বরিস জনসন বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে আলোচনা করেন।

প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন বরিস জনসন। এরপর তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি হলেও প্রত্যাবাসন এখনো শুরু হয়নি। সেইসঙ্গে শরণার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তা শঙ্কা তো আছেই।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমারের সেনাপ্রধান এবং রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশনের প্রধানের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে। মিয়ানমার সফর শেষে ব্যাংকক ও থাইল্যান্ডেও যাবেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন।