‘দরিদ্র’ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, ‘ধনী’ চন্দ্রবাবু নাইডু

Looks like you've blocked notifications!

ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ‘দরিদ্র’ মুখ্যমন্ত্রী হলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। আর তাঁর পরেই দ্বিতীয় দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এমন তথ্য প্রকাশ্যে আনলো ভারতের অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিভ রিফর্ম(এডিআর)। ভোটে লড়াই করার আগে নিজেদের সম্পত্তির পরিমাণসহ অন্যান্য তথ্য জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা পেশ করতে হয় সেই হলফনামার বিচারে ভারতের ২৯টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ, শিক্ষাগত যোগ্যতার তালিকা প্রকাশ করেছে ওই সংস্থাটি।

সেই তালিকা অনুযায়ী ভারতের সবচেয়ে ধনী মুখ্যমন্ত্রী হলেন অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। চন্দ্রবাবু নাইডুর সম্পত্তির পরিমাণ ১৭৭ কোটি রুপি। এরপর দ্বিতীয় ধনী মুখ্যমন্ত্রী হলেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডু। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১২৯ কোটি রুপি। তৃতীয় ধনী মুখ্যমন্ত্রী হলেন পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৮ কোটি রুপি।

এরপরেই ভারতের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ২৬ লক্ষ রুপি। দ্বিতীয় দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ লাখ রুপি। ভারতের তৃতীয় দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী হলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫৫ লক্ষ রুপি।

সম্পত্তির পরিমাণের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মামলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বিরুদ্ধে মোট ২২টি মামলা রয়েছে। ফড়নবিশের পরেই রয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। এরপর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতের রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে ১০টি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার মামলা রয়েছে।

ভারতের অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিভ রিফর্মের তথ্য মতে, শিক্ষার দিক থেকে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই শিক্ষিত। যার মধ্যে ৩৯ শতাংশ গ্রাজুয়েট, ৩২ শতাংশ প্রফেশনাল, ১৬ শতাংশ পোস্ট গ্রাজুয়েট। শুধুমাত্র ১০ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন যারা হাইস্কুল পাশ করেছেন। তবে ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং যোগ্যতায় সবচেয়ে এগিয়ে। ডক্টরেট রয়েছে তাঁর।