অস্ট্রেলিয়াও বহিষ্কার করবে রুশ কূটনীতিকদের
যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তাঁর মেয়েকে হত্যাচেষ্টার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে সে দেশের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। এবার সেই কাতারে যোগ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল জানান, বহিষ্কার করা হবে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাশিয়ার কূটনীতিকদের।
বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, ‘ওই নির্লজ্জ আক্রমণ আমাদের সবার ওপরে আক্রমণ।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই আক্রমণকে নিজ দেশের নির্বাচন ও মিত্র দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার এই কাজের জন্য ২৩টি দেশের মতো আমরাও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ওই বেআইনি কাজকে প্রশ্রয় দেবো না।’
এর আগে রাশিয়ার ৬০ জন কূটনীতিককে নিজ দেশ থেকে বরখাস্ত করার আদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া ওয়াশিংটন রাজ্যের সিয়াটলে রাশিয়ার কনস্যুলেট কার্যালয় বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৪টি দেশও নিজেদের এলাকা থেকে বহিষ্কার করছে মস্কোর কূটনীতিকদের।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্টে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তাঁর মেয়েকে হত্যাচেষ্টার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাশিয়ার কূটনীতিক বহিষ্কার করছে ইউরোপের যেসব দেশ, তার মধ্যে জার্মানি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, চেক রিপাবলিকও আছে।
চলতি মাসে যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালরে ওপর ‘নার্ভ এজেন্ট’ (স্নায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ) হামলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গত ৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের স্যালসবেরিতে ‘রাশিয়া মিলিটারি গ্রেড নার্ভ এজেন্ট’ বাবা ও মেয়ের ওপর হামলা চালানো হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতিতে দাবি করে, ওই হামলা ছিল রাসায়নিক অস্ত্রবিরোধী চুক্তিভঙ্গের একটি নিদর্শন।