দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, নিউ সাউথ ওয়েলসসহ পুরো দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল। বৃষ্টিপাতে অনেক স্থানেই নদীর পানি বেড়েছে। কিছু কিছু স্থানে পানিরক্ষা বাঁধের বিপৎসীমার কাছে পৌঁছে যায়। আবহাওয়ার খারাপ অবস্থার কারণে পেরিশ ও থ্রেডবো অঞ্চলে তুষারপাত বেড়েছে। এ ছাড়া সিডনিসহ বিভিন্ন শহরের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ অস্ট্রেলিয়ার এর আগে আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, সিডনিতে ১০ থেকে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে ইলাওয়ারায় বৃষ্টিপাত ৬০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে সোমবার সকাল ৯টা থেকেই প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। শহরের অনেক স্থানে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পেরিশ ও থ্রেডবোতে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হয়েছে। তুষারপাতের কারণে বাইরে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নিম্নচাপ তাসমানিয়ার দিকে সরে যাওয়া পর্যন্ত এই তুষারপাত অব্যাহত ছিল। এসব এলাকার তাপমাত্রা শূন্য বা এর নিচে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা দুদিন খারাপ আবহাওয়ার পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঝড়ো বাতাস ও ভারি বৃষ্টিও ধীরে ধীরে কমছে। তবে এখনো সিডনি, ইলাওয়ারা, বাটেম্যানসহ নিউ সাউথ ওয়েলসের উপকূলীয় অনেক স্থানেই ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা আছে। বুধবার শুধুমাত্র সিডনি ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কা থেকে বেরিয়ে যাবে। তবে এই শঙ্কায় নতুন যুক্ত হবে হান্টার উপকূল। আর অস্ট্রেলিয়ার জরুরি সেবা সংস্থা জানিয়েছে, এরই মধ্যে তারা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার এলাকাগুলোতে সাহায্যের জন্য এক হাজারের বেশি ফোন এসেছে। গতকাল সোমবার পূর্ব উপকূলে ৪৭টি উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সিডনির ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণের কিয়ামা এলাকায় নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রক্ষাবাঁধ হুমকির মুখে পড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে নিকটবর্তী স্কুল ও বাড়ি থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে ওই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন কিয়ামার মেয়র ব্রায়ান পেটসলার। ওই মেয়র দাবি করেন, পানি এখনো বাঁধের আট মিটার নিচে। তবে বাঁধ থেকে পানি বের হয়ে আসার অভিযোগে তিনি বলেন, বাঁধের মাঝের গর্ত দিয়ে ওই পানি বেরিয়ে আসছে।