১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, পুড়িয়ে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!

ভারতের আসামে ধর্ষণের পর ১১ বছরের এক শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই কিশোরসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটে গত ২৩ মার্চ আসামের নাগা জেলায়। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীটির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ওই দিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ধর্ষণের অভিযোগে একই এলাকার জাকির হোসেন (২১) ও দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশ।

মেয়েটির মা এনডিটিভিকে জানান, ঘটনার দিন তাঁরা মাঠে কাজ করছিলেন। ওই সময় মেয়েটি বাড়িতে একা ছিল। পরে গ্রামবাসীর ডাকে বাড়ি ফিরে দেখেন আগুনে তাঁদের কন্যাশিশুটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে।

‘আমার মেয়ে এ লোকটিকে ভালোভাবে চিনত না। আমি বুঝতে পারছি না কেন আমাদের সঙ্গে এমনটা ঘটল,’ এই বলেই মেয়েটির বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

শিশুটি মারা যাওয়ার পর গ্রামবাসীরা ওই দুই কিশোরকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় জাকির পালিয়ে যান। একদিন পর গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ তাঁকে পাশের গ্রাম থেকে আটক করে।

এলাকায় জাকিরের পরিবার ধনী ও প্রভাবশালী হওয়ায় আগেও এ ধরনের অত্যচারের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। এক নারী অভিযাগ করেন, জাকিরের বাবা বাড়িতে ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। নিজেকে রক্ষা করে পুলিশের কাছে গেলেও তাঁরা তাঁকে কোনো সাহায্য করেনি।

মুসাব্বির আলম জানান, মেয়েটি হিন্দু, মুসলিম বা অন্য কোনো ধর্মের হলেও আমরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে অবস্থান করতাম। অপরাধীর কোনো ধর্ম নেই এবং তাঁকে শাস্তি দেওয়া উচিত। যেহেতু ধর্ষণের পর পুরো গ্রাম ন্যায়বিচারের জন্য একতাবদ্ধ ছিল, তাই পুলিশ অপরাধীকে দ্রুত ধরতে পেরেছে।

নাগার পুলিশ সুপার শঙ্কর রায় মেধি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। তাই আমরা একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করে প্রত্যেককে আটক করেছি এবং খুব শিগগির অভিযোগপত্র দাখিল করব।