লিবিয়ার উপকূলে 'বাংলাদেশি'সহ কয়েকশ মৃত্যুর আশঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!
সুইডিশ জাহাজ পসাইডন লিবিয়ার উপকূলে নৌযান ডুবির পর উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। ছবিটি স্থানীয় সময় ২৬ আগস্ট-২০১৫, বুধবার তোলা। ছবি : রয়টার্স

লিবিয়ার জুয়ারা শহরের পাশে ভূমধ্যসাগরে নৌযানডুবির ঘটনায় কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রথম নৌযানটি বৃহস্পতিবার সহায়তার জন্য সংকেত পাঠিয়েছিল। এতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ পর ৪০০ যাত্রী নিয়ে আরেকটি নৌযান ডুবে যায়। এদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানান, লিবিয়ার কোস্টগার্ড ২০১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তবে এখনো অনেক মানুষ ডুবে যাওয়া নৌযানে আটকা পড়েছে।

দেশটির সাব্রাথা অঞ্চলে নির্মিত অবৈধ অভিবাসীদের বন্দিশিবিরে ১৪৭ জনকে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় এক অধিবাসীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ত্রিপোলির পশ্চিমে জুয়ারা শহরের হাসপাতালে অন্তত ১০০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই অধিবাসীর আরো জানান, নৌযান দুটিতে সিরিয়া, বাংলাদেশ ও সাব-সাহারা আফ্রিকার কয়েকটি দেশের অবৈধ অভিবাসী রয়েছে। তবে বিবিসি জানিয়েছে, এই তথ্য নির্ভরশীল নয়।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছর প্রায় দুই হাজার ৪০০ অভিবাসী মারা গেছে। লক্ষাধিক মানুষ ইতালিতে পৌঁছেছে এবং আরো এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ গ্রিস অতিক্রম করেছে।

গত বুধবার লিবিয়ার উপকূলে দুর্ঘটনার শিকার এক জাহাজ থেকে ৫১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিন সুইডিশ কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ পসাইডন ৪০০ জনের বেশি লোককে উদ্ধার করে। আরো অন্তত তিন হাজার অভিবাসী প্রাণে বেঁচে যায়।