সিরিয়ার উদ্বাস্তু গ্রহণ বাড়াবে অস্ট্রেলিয়া : টনি অ্যাবট
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট বলেছেন, বিশ্ব সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক কারণে সিরিয়া থেকে উদ্বাস্তু গ্রহণ বাড়ানো হবে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবছর অভিবাসী গ্রহণের মোট সংখ্যার কোনো পরিবর্তন হবে না। স্থানীয় সময় আজ রোববার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাবট এ কথা বলেন।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের সমুদ্র সৈকতে তিন বছরের সিরীয় শিশু আয়লানের মৃতদেহ ভেসে ওঠার পরই ইউরোপে অভিবাসী সংকটের তীব্রতা ফুটে ওঠে। বিশ্ববাসীর বিবেক নাড়িয়ে দেওয়া ওই ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক মহলেও বেশ সাড়া ফেলে। সিরিয়ার উদ্বাস্তু গ্রহণ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার ভেতরেই বাড়তি চাপ তৈরি হয়।
ক্যানবেরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট বলেন, শিশু আয়লানের মৃত্যুর ঘটনা তাঁকেও প্রভাবিত করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী গ্রহণের সংখ্যায় সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের হার বাড়ানো হবে। আর প্রতি বছর অভিবাসী গ্রহণ ১৩ হাজার ৭৫০ জনই থাকছে। তবে, ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৫০ করা হবে।
টনি অ্যাবট বলেন, উদ্বাস্তু গ্রহণের ক্ষেত্রে ইরাক ও সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর উদ্বাস্তু শিবিরে থাকা নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। টনি অ্যাবট আরো বলেন, উদ্বাস্তু শিবিরে থাকা মানুষের সহায়তায় আরো মানবিক সহায়তার পরিকল্পনায়ও করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। তিনি বলেন, সব সময়ই সংকটে এগিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বের সমস্যায় অস্ট্রেলিয়া সব সময়ই এর কর্তব্য পালন করবে।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী আজ রোববার রাতে জাতিসংঘের উদ্দেশে রওনা দেবেন। বর্তমান উদ্বাস্তু সংকটে অস্ট্রেলিয়া কীভাবে সহায়তা করতে পারে- এ ব্যাপারে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হবে।
গত এক বছরে ইরাক ও সিরিয়ার সাড়ে চার হাজার উদ্বাস্তুকে অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট উদ্বাস্তু সমস্যাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের অন্যতম মানবিক বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহেই সিরিয়ার আইএস লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে আলোচনা হওয়ার কথা। অনেকটাই নিশ্চিত যে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে সারা দিয়ে দেশটি সেখানে যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে।