মৃত ঘোষণার পরও বেঁচে গেলেন তিনি

Looks like you've blocked notifications!

ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন এক নারী। তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন প্যারামেডিক চিকিৎসকরা। এরপর ওই নারীর ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয় হাসপাতালের মর্গে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর হঠাৎ দেখা যায়, তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। এর পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার গটেং প্রদেশের কার্লেটনভিল মর্গে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বিবিসির প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে জানা যায়।

‘ডিস্ট্রেস অ্যালার্ট’ নামে একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কোম্পানির পক্ষ থেকে নাম না জানা ওই নারীকে মৃত সাব্যস্ত করে মর্গে রেখে যাওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির একজন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস অপারেটর মঙ্গলবার সিএনএনকে এ ঘটনা নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, গত ২৪ জুন দক্ষিণ-পূর্ব জোহানেসবার্গে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার এক নারীকে ডিস্ট্রেস অ্যালার্টের প্যারামেডিকরা মৃত হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কার্লেটনভিল মর্গে হস্তান্তর করেন। কয়েক ঘণ্টা পরে মর্গের এক কর্মচারী মৃতদেহ তদারকির জন্য মর্গে প্রবেশ করলে অবিশ্বাস্যভাবে সেই নারীকে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেখেন।

এ ব্যাপারে ডিস্ট্রেস অ্যালার্টের অপারেশন ম্যানেজার গেরিট ব্রাডনিক দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট টাইমসলাইভকে বলেছেন, ‘আমরা এ ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছি। তদন্ত শেষে সব তথ্য জানানো হবে।’ 

ব্রাডনিক এ সময় প্যারামেডিকদের পক্ষাবলম্বন করে বলেন, ‘ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করার আগে নিশ্চিত হওয়ার জন্য যত রকম প্রক্রিয়া আছে, সবই অনুসরণ করা হয়েছিল। তাঁর মধ্যে জীবিত থাকার কোনো নমুনা ছিল না। এটা আমাদের প্যারামেডিকদের কোনো রকম দায়িত্বে অবহেলা থেকে ঘটেছে, সে রকম প্রমাণ নেই।’ তাঁরা সবাই খুব ভালোভাবে প্রশিক্ষিত বলে দাবি করেন ব্রাডনিক।

এদিকে বেঁচে ওঠা ওই নারী বর্তমানে পূর্ব জোহানেসবার্গের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে। 

এ ব্যাপারে ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা পুলিশ,  প্যারামেডিকস ও মর্গের কর্মচারীদের ছাড়া কোনো মন্তব্য করতে চাননি। মূল ঘটনা কী ঘটেছিল, সেটা স্পষ্ট করে জানতে চাওয়াই তাঁদের দাবি বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে টাইমসলাইভ জানায়, বর্তমানে  রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগের ফরেনসিক কর্মকর্তারা ডিস্ট্রেস অ্যালার্টের ব্যাপারে তদন্ত করছেন।

এর আগে ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার আরেক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করার পরও কজুলু নাটাল প্রদেশের একটি মর্গে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি মারা যান।