উদ্ধার অভিযান সফল, গুহা থেকে উদ্ধার সবাই

Looks like you've blocked notifications!
একে একে উদ্ধার হচ্ছে কিশোররা। উৎফুল্ল স্বজনরা। ছবি : সংগৃহীত

এ এক অবিশ্বাস্য জয়! জয়টা মানুষের! প্রকৃতির কঠিন ও নির্মম পরীক্ষায় দুলছিল ১৩ জনের জীবন। যার মধ্যে ১২ জনই কিশোর। ১৭ দিন পর থাইল্যান্ডের অন্ধকার গুহা থেকে ওই ১৩ জনকে নিরাপদে বের করে আনলেন উদ্ধারকর্মীরা।

ওদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন একজন উদ্ধারকর্মীও। তবু দমে থাকেনি মানুষের লড়াই। আর মানুষের এ জয়টা যে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বহু বছর!

আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে থাইল্যান্ডের ওই গুহা থেকে বের করে আনা হয় ১২তম কিশোর ও তাদের কোচকে। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ও সিএনএন এ তথ্য দিয়েছে।  

গত শনিবার প্রথম দফায় চার কিশোরকে বের করে আনা হয়। গত দুদিনে একে একে অন্যদের উদ্ধার করা হয়।  

থাইল্যান্ডের চিয়াং রাইয়ের থাম লুয়াং গুহায় গত ২৩ জুন আটকা পড়ে ওই ১৩ জন। তাদের ১২ জন একটি ফুটবল দলের খেলোয়াড়, অন্য একজন বয়স্ক ব্যক্তি তাদের কোচ। আটকা পড়ার নয়দিন পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ ছিল না।  

গত ২ জুলাই এই ফুটবল দলের খোঁজ পাওয়া যায়। গুহায় ঢোকার পর বন্যার পানিতে আটকে পড়েছিল এই ১৩ জন। বন্যার পানির পাশাপাশি অক্সিজেনের স্বল্পতা ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ।

খোঁজ পাওয়ার পর তাদের উদ্ধার করতে আরো কয়েক মাস লাগতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির পরিমাণ কমে আসায় এবং গুহায় অক্সিজেনের পরিমাণও কমতে থাকায় ৮ জুলাই উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়।

বিশ্বকাপ ফুটবলের ডামাডোলেও সারা বিশ্বের নজর ছিল থাইল্যান্ডের দিকে। ওই কিশোররাও ভবিষ্যৎ ফুটবলার। চরম উৎকণ্ঠা, উত্তেজনা নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ অপেক্ষা করেছে ওই ১৩ জনের।

প্রতিকূল পরিবেশ, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধারকর্মীরা বিন্দুমাত্র দমে যাননি। উদ্ধারকাজে ছিলেন বিশেষজ্ঞ ডুবুরি। যারা নিজেরাই প্রতিটি কিশোরকে নিয়ে গুহা থেকে বের হন। উদ্ধারকাজে ছিলেন একজন চিকিৎসক ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।