অস্ট্রেলিয়া ১২ হাজার সিরীয়কে আশ্রয় দেবে
সহিংসতাপ্রবণ মধ্যপ্রাচ্য থেকে পালিয়ে আসা লোকজনকে সহায়তার অংশ হিসেবে আরো বেশি সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে অস্ট্রেলিয়া। আজ বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট ঘোষণা দেন, তাঁর দেশ সিরিয়ার ১২ হাজার শরণার্থীকে গ্রহণ করতে পারবে।
চলতি বছর কোনো দেশের পক্ষে এটাই সবচেয়ে বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা এলো। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার বিমানবাহিনী ইরাকে আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে ১২ মাস ধরে হামলা চালাচ্ছে। তবে গত মাসে সিরিয়ায় হামলা চালানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
ক্যানবেরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টনি অ্যাবট বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মানবিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এটা একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা।’
অস্ট্রেলিয়ার সরকারপ্রধান বলেন, ‘নতুন করে ১২ হাজার স্থায়ী পুনর্বসতির জায়গা তাঁদের জন্য হবে, যাঁদের স্থায়ী সুরক্ষা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, যেমন—জর্ডান, লেবানন ও তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া নারী, শিশু ও নির্যাতিত সংখ্যালঘু পরিবার।’
এ ছাড়া সিরিয়া ও ইরাকের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত লোকজনের সহায়তায় জাতিসংঘকে সরাসরি তিন কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার দেবে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
ইরাক, ইয়েমেন, লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সংঘর্ষের কারণে সংশ্লিষ্ট দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে স্থানীয় অধিবাসীরা। এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছে গেছে। আরো কয়েক রয়েছে পথে।