রাশিয়ার নারী গুপ্তচর যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!

ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় রাশিয়া সরকারের এক নারী গুপ্তচরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। ওই রুশ নারীর নাম মারিয়া বুটিনা।

যুক্তরাষ্ট্রে মারিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রিপাবলিকান দলের সঙ্গে। তিনি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও সংগ্রহে রাখার অধিকারের পক্ষে কাজ করেন।

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ রয়েছে, তার সঙ্গে মারিয়ার অভিযোগের সম্পর্ক নেই। তিনি রাশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে কাজ করতেন।

মারিয়া বুটিনার আইনজীবী রবার্ট ড্রিসকল বলেন, তাঁর মক্কেল চর নন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্রী, যার মাধ্যমে ব্যবসায় ক্যারিয়ার গড়তে চান।

আইনজীবী বলেন, মারিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত। তিনি কোনো নীতি, আইনে বা যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন, কোনো তার প্রমাণ নেই।

মারিয়া বুটিনা থাকেন ওয়াশিংটনে। গত রোববার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগামী বুধবার তাঁর শুনানি হবে।

মারিয়াকে গ্রেপ্তার খবরের কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বৈঠক করেন। এতে পুতিন বলেন, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি রাশিয়া। ট্রাম্প তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) স্পেশাল এজেন্ট কেভিন বলেন, মারিয়া বুটিনার দায়িত্ব ছিল মার্কিন রাজনীতিতে যাদের প্রভাব রয়েছে, তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ তৈরি করা এবং তা কাজে লাগানো। এর মধ্যে রাশিয়ার স্বার্থ চরিতার্থ করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য।

ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী কেউ যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা তৎপরতা চালালে তাকে নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু মারিয়া তা করেননি।

মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় বলছে, যেসব সংগঠন আগ্নেয়াস্ত্রের অধিকারের পক্ষে কাজ করে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন মারিয়া।