গ্রিসে দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪

Looks like you've blocked notifications!

গ্রিসে দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ জনে। আর আহত হয়েছেন ১৮৭ জন। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া লোকদের খোঁজে বাড়িঘরে অথবা গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।

গত সোমবার বিকেলে এই দাবানলের সূত্রপাত ঘটে। আগুন বনভূমি, বাড়িঘর ও বসতি এলাকা গ্রাস করে। লোকজনকে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়।

রাজধানীর এথেন্সের নিকটবর্তী সমুদ্র উপকূলের মটি শহরটির রাস্তা, গাড়ির পার্কিং এলাকা পাইন ফরেস্টের দাবানলের ধোঁয়া ও ছাইয়ে ঢেকে যায়। শহরটি এথেন্স থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস তাঁর বসনিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আজ গ্রিসে শোকের দিন।’

গ্রিসের গণমাধ্যম এই বিপর্যয়কে ‘জাতীয় ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। সরকার এখনো বলতে পারছে না, কত লোক নিখোঁজ রয়েছে।

তবে ২০০৭ সালে গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ইভিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের সংখ্যা থেকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওই ঘটনায় ৭৭ জন মারা গিয়েছিল।

আহত ১৮৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। নিহতদের মধ্যে একজন বেলজিয়ান এবং পোল্যান্ডের এক নারী ও তাঁর ছেলে রয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিসসহ বিশ্বনেতারা এথেন্সের বিপর্যয়ে শোক ও সংহতি জানিয়েছেন।

এথেন্স বলেছে, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বুধবার ৩০৮ জন প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।