পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

Looks like you've blocked notifications!
পাকিস্তানে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষা করছেন ভোটাররা। ছবি : রয়টার্স

ভোটেকেন্দ্রের বাইরে বোমা হামলায় প্রাণহানিসহ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এখন চলছে গণনার কাজ। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের দাবি ভোট গ্রহণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানজুড়ে মোটামুটি নির্বিঘ্নেই হচ্ছিল ভোটগ্রহণ। এরই মধ্যে বুধবার দুপুরের দিকে কোয়েটার একটি ভোট কেন্দ্রের কাছে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৩১ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরো ২৪ জন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও পুলিশ সদস্য রয়েছে। আহতদের অনেকেই রয়েছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়।

পুরো ভোট প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল। প্রধান কেন্দ্রগুলোয় দায়িত্বে ছিলেন ১২০ জন পর্যবেক্ষক।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রধান মাইকেল গ্যালার বলেন, ‘তাঁরা পরিচয় পত্র পরীক্ষা করছে কি না, একই ব্যক্তি বার বার আসছে কি না এসবই দেখছি আমরা। আসলে নিয়মের বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব।’

স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। ভোট কেন্দ্রগুলোয় ভোটার উপস্থিতি বিশেষ করে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। মোট নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৬০ লাখ। ৮৫ হাজার ৩০৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন দেশটির  মানুষ। এরই কেন্দ্রে ভোটারদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২৫ জুলাই সরকারি ছুটি ঘোষণা করে পাকিস্তান সরকার।

সকাল থেকে নিজ নিজ কেন্দ্রে একে একে ভোট দেন শীর্ষ প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান দাবি করেন, এই নির্বাচন সবচেয়ে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ইমরান খান বলেন, ‘এটিকে সবচেয়ে নির্বিঘ্ন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যায়। আগের বার সব দলই পাতানো ভোটের অভিযোগ করেছিল। একমাত্র আমিই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখন সবাই আমার বিরোধিতা করে।’

স্থানীয় সময় বুধবার রাত ২টা নাগাদ ভোটের ফল জানা যাবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কারাগারে আটক নওয়াজ শরীফের দল মুসলিম লীগ (এন) ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মধ্যে। তবে লড়াইয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টোর ছেলে বিলওয়াল ভুট্টোর পিপলস পার্টিও (পিপিপি)।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ২৭২টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৩৪২ সদস্যের পার্লামেন্টে ৭০ টি আসন হচ্ছে সংরক্ষিত। ২৭২টি আসনের মধ্যে কোনো দল ১৩৭টি আসন পেলেই সরকার গঠনে সমর্থ হবে।