সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী আর নেই

Looks like you've blocked notifications!

বিশিষ্ট সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী আর নেই। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

গত ২১ জুলাই থেকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রমাপদ চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে। সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরীর জন্ম হয় ১৯২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরে। সেখানে ছোটবেলা কেটেছে তাঁর। পড়াশোনা করেন সেখানেই। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক পাস করেন। তিনি লিখেছেন বহু উপন্যাস, গল্প ও প্রবন্ধ। ভারতের বিভিন্ন ভাষায় তাঁর লেখা গল্প ও উপন্যাস অনুবাদ হয়েছে। রমাপদ চৌধুরীর প্রথম উপন্যাস ‘প্রথম প্রহর’। এ ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘লালবাই’, ‘খারিজ’, ‘বাহিরি’, ‘বনপলাশির পদাবলি’, ‘বাড় বদলে যায়’, ‘ছাদ’, ‘শেষের সীমানা’, ‘আকাশপ্রদীপ’, ‘যে যেখানে দাঁড়িয়ে’, ‘পিকনিক’, ‘এখনই’, ‘দ্বীপের নাম টিয়ারঙ’, ‘অভিমূন্য’, ‘বীজ’, ‘দরবারি’। তাঁর শেষ লেখা আত্মজীবনীমূলক রচনা হারানো খাতা।

১৯৬৩ সালে তিনি আনন্দ পুরস্কার পান। ১৯৮৮ সালে বাড়ি বদলে যায় উপন্যাসের জন্য পান সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার। ১৯৯৮ সালে সাম্মানিক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত হন। তাঁর লেখা এখনই উপন্যাসের জন্য ১৯৭১ সালে পান রবীন্দ্র পুরস্কার। ২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথ টেগোর মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশানাল পুরস্কার পান।

রমাপদ চৌধুরীর বেশ কয়েকটি উপন্যাস নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তম কুমার অভিনীত ‘বনপলাশির পদাবলি’। এ ছাড়া রয়েছে ‘দ্বীপের নাম টিয়ারঙ’, ‘এখনই’, ‘পিকনিক’। তাঁর লেখা ‘বীজ’ উপন্যাস অবলম্বনে পরিচালক মৃণাল সেন তৈরি করেন ‘একদিন আচানক’। ‘অভিমূন্য’ উপন্যাস অবলম্বনে পরিচালক তপন সিংহ তৈরি করেন ‘এক ডক্টর কি মওত’ ছবিটি।