‘সু চির নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া হবে না’
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির কাছ থেকে নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছে নরওয়ের নোবেল কমিটি।
গত সোমবার জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশন জানায়, গণহত্যার উদ্দেশ্যেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে সাধারণ মানুষকে হত্যা ও গণধর্ষণ করে। আন্তর্জাতিক অপরাধে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ও পাঁচ জেনারেলকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর আহ্বান জানায়।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সু চি গণতন্ত্রের পক্ষে অবদান রাখায় ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। রাখাইনে পরিচালিত সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর সমালোচনা করে জাতিসংঘ।
নরওয়ের নোবেল কমিটির সম্পাদক ওলাভ নোয়েলস্ট্যাড বলেন, ‘মনে রাখতে হবে নোবেল পুরস্কার, সেটা পদার্থবিদ্যা, সাহিত্য বা শান্তিতে হোক না কেন, দেওয়া হয় অতীতের পুরস্কার-যোগ্য অর্জনের ওপর ভিত্তি করে।’ তিনি বলেন, ‘অং সান সু চি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ১৯৯১ সালের আগ পর্যন্ত গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য যে লড়াই করেছেন তার জন্য।’ একইসঙ্গে নোবেল পুরস্কারের যে নিয়মনীতি রয়েছে তাতে পুরস্কার প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নরওয়ের নোবেল কমিটিতে পাঁচজন রয়েছেন, যাঁরা সাবেক রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। বাকি নোবেল পুরস্কারগুলো দেওয়া হয় সুইডেন থেকে।
গত বছর কমিটির প্রধান বেরিট রিস-অ্যান্ডারসেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে সু চির ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার জের ধরে পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বৌদ্ধপ্রধান রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দমন অভিযান শুরু করে। এরপর সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে থেকেই বিভিন্ন সময় পালিয়ে আসা চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। সব মিলিয়ে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের আশ্রয়ে রয়েছে।