দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফের সম্মেলন শুরু

Looks like you've blocked notifications!
ভারতে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু। ছবি : সংগৃহীত

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ সোমবার ভারতের নয়াদিল্লিতে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মেলন শুরু হয়।

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

নয়াদিল্লি থেকে সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা গণমাধ্যমকে এতথ্য জানিয়েছেন। সম্মেলন চলবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন।

অপরদিকে বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মার নেতৃত্বে ২০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল ওই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজি এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন।

সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আআরো সুসংহত করার লক্ষ্যে বিজিবি পরিচালিত সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতির (সীপকস) সভানেত্রী সোমা ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল একই সঙ্গে ভারত সফর করছেন।

সীপকস প্রতিনিধিদল বিএসএফ পরিচালিত বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদলের সাথে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডপরিদর্শন করবেন।

বিজিবির সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি/হত্যা/আহতের ঘটনা, আগ্নেয়াস্ত্র/গোলাবারুদ/বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান, বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য যেমন; ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ভায়াগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট ইত্যাদি চোরাচালান, নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তার/আটকের ঘটনা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম/বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা, জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি এর ভেন্যুসমূহে দর্শকদের জন্য সীমান্তের দুপাশে একই ধরনের গ্যালারি নির্মাণ, সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’-এর আওতা বৃদ্ধি, উভয় দেশের সীমান্ত নদীসমূহের তীর সংরক্ষণ এবং পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ।

ভারত সফরকালে বিজিবির মহাপরিচালক ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ প্রীতি বাস্কেটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স-জেআরডি) স্বাক্ষরিত হবে।