প্রতিবেশী হলেও আমরা পরিবার : মোদি

Looks like you've blocked notifications!
আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : ফোকাস বাংলা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন, ‘ভৌগোলিকভাবে আমরা প্রতিবেশী, কিন্তু চিন্তা-চেতনায় আমরা পরিবার। একজন আরেকজনের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি, যদি দুই প্রতিবেশী দেশ এক হয়, তো কি না করা যায়। আমরা সব বিষয়ে অভূতপূর্ব প্রগতি করেছি।’

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের নির্মাণকাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিডিও কনফারেন্সে নিজের বক্তব্য দেওয়ার সময় নরেন্দ্র মোদি এসব কথা বলেন।

মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারত এবং বাংলাদেশের মন্ত্রিগণ ও প্রশাসনের সবাইকে নমস্কার। কয়েক দিনের মধ্যে এটা আমাদের দ্বিতীয় দিনের ভিডিও কনফারেন্স। আমাদের সম্পর্ক শুধু প্রযুক্তির জন্যেই না, এর পেছনে কারণ হলো বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবাধ গতি ও নির্বাধ প্রগতি।’

এ সময় মোদি বলেন, ‘১৯৬৫ সালের আগে আমাদের যেই যোগাযোগ তা বহাল রাখাই আমাদের লক্ষ্য। এতে আমাদের অনুপ্রেরণা মিলে। আমি খুশি যে, ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর প্রকল্প আমাদের ২১ শতকের প্রয়োজন অনুযায়ী হচ্ছে। মাত্র ১০ দিনে আমরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঁচ প্রজেক্ট উদ্বোধন করেছি।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এ সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এই গতি এই মোমেন্টাম আপনার সফল নেতৃত্ব ছাড়া সম্ভব ছিল না। আমার বিশ্বাস, আগামী দিনে বাংলাদেশের মানুষের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আমরা একইভাবে কাজ করতে থাকব।’

এদিকে, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমি তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অর্থনৈতিক উন্নয়ন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের দ্বিপক্ষীয় প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন সম্ভাবনার দিগন্ত আরো সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ সব সময়ই ভালো প্রতিবেশী।’

এ সময় নিজ নিজ দেশ থেকে দুই দেশের মন্ত্রী ও প্রশাসনিক ব্যক্তিরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।