আদিবাসী ভাষার স্বীকৃতির দাবি, অবরোধে বিপর্যস্ত রেল

Looks like you've blocked notifications!
বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে সাঁওতালি ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে আজ সোমবার সকাল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল ও সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন আদিবাসীরা। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে সাঁওতালি ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল ও সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন আদিবাসীরা। প্রথমে ‘ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহাল’ নামে একটি আদিবাসী সংগঠন এই অবরোধের ডাক দিলেও পরে তাতে সমর্থন দেয় আদিবাসী সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ’।

এর ফলে অবরোধের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড ও উড়িষ্যাতেও। আজ সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিভিন্ন শাখায় ট্রেন চলাচল।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে রওনা দেওয়া দূরপাল্লার বহু ট্রেন আটকে পড়েছে বিভিন্ন স্টেশনে। একই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করার ফলে স্থলপথে যোগযোগ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

আন্দোলনকারীদের মূল দাবি, সাঁওতালি ভাষাকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত স্বীকৃতি দিতে হবে। সেইসঙ্গে অলচিকি হরফের বই প্রণয়ন, সাঁওতাল ভাষার শিক্ষক নিয়োগ, সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের বদলি না করা, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক উন্নয়নসহ মোট নয় দফা দাবিতে এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।

আজ সকাল ৬টা থেকেই পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ শুরু করেছেন আদিবাসীরা। এর ফলে বহু লোকাল ট্রেনের যাত্রা যেমন বাতিল করা হয়েছে, তেমনি বহু স্টেশনে আটকা পড়েছে দূরপাল্লার ট্রেন। অবরোধের ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

অবরোধের ফলে উড়িষ্যা ও দক্ষিণ ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গে দূরপাল্লার কোনো ট্রেন ঢুকতে পারছে না। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে বিভিন্ন রাজ্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার ট্রেনগুলোও যেতে পারছে না। সকাল থেকে স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে ‘খড়গপুর-টাটানগর প্যাসেঞ্জার’, ‘জনশতাব্দী এক্সপ্রেস’, ‘স্টিল এক্সপ্রেস’, ‘ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস’, ‘ফলকনুমা এক্সপ্রেস’সহ দূরপাল্লার ট্রেনগুলো।

এদিকে দাবি মানা না হলে এই অবরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আদিবাসীরা। ট্রেন অবরোধের পাশাপাশি জাতীয় সড়কের ওপরও অবরোধ চলায় দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থাও থমকে গেছে।

‘ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহাল’-এর নেতা রবিন টুডু বলেন, ‘সরকার আমাদের দাবি যতক্ষণ না মানবে, আমরা তত দিন এই অবরোধ চালিয়ে যাব।’