জাতিসংঘ অধিবেশনে নজর ইরান পরমাণু ইস্যুতে

Looks like you've blocked notifications!
ইরানকে একঘরে করে ফেলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এনটিভি

জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ পরিষদের মূল অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের নজর ছিল ইরান পরমাণু ইস্যুতে। মঙ্গলবার মূল অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ইরানকে একঘরে করে ফেলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানের কথাও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

শুরু হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মূল অধিবেশন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং তাঁদের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন মূল অধিবেশনে। এবার বিশ্বের বৃহত্তম এই কূটনৈতিক সম্মেলনে সবার নজর ইরান ইস্যুতেই।

ইউরোপীয় মিত্রদের পাশাপাশি রাশিয়া ও চীনকে হতাশ করে গত মে মাসে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর পুরোনো নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল, আরো নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি এবং ইরানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আক্রমণাত্মক বক্তব্যের কারণে দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা চলছে।

উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার অধিবেশনে যোগ দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ইস্যুতে নিজের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠকের বসার কথা নকচ করে দেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পরমাণু ইস্যুতে ইরান খুব খারাপভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের পরিবর্তন হবে না। ইরানের সামনে কোনো পথ না থাকায় ইরানের প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। কিন্তু ইরানের কথাবর্তার ধরন পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বৈঠক হবে না।’

পরমাণু ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা ছাড়া সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র এর কড়া জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসনের বিতর্কিত নানা দিক এড়িয়ে গিয়ে জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে নিজের উন্নয়নের গুণগান তুলে ধরেন ট্রাম্প।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ ভেস্তে দিয়ে ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক চালু রাখার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে ইরান চুক্তির অন্য পাঁচ পক্ষ  যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়া।