নেপালে নতুন সংবিধান ‘কার্যকর’
নেপালে সংবিধান নিয়ে চলমান সহিংসতার মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত নতুন সংবিধানটি ‘কার্যকর’ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদব সংবিধানটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন এবং এরপর থেকেই এটি কার্যকর বলে ঘোষণা করা হয়।
নতুন সংবিধান অনুযায়ী ‘বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র’ বলে পরিচিত নেপাল একটি ধর্ম নিরপেক্ষ ফেডারেল রিপাবলিক হিসেবে পরিচিত হবে। গত বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে সংবিধানটি গৃহীত হয়।
তবে এই সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে কিছু গোষ্ঠী। তারা নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবেই দেখতে চায়। কিছু কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীও মনে করছে এই সংবিধান বৈষম্যমূলক হতে পারে। ২০০৮ সালে নেপালে রাজতন্ত্র অবসান হওয়ার পর থেকে একটি অন্তর্বর্তী সংবিধান দিয়ে দেশ চালানো হচ্ছিল।
বুধবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পার্লামেন্টের ৬০১ সদস্যের মধ্যে ৫০৭ জন নতুন সংবিধান প্রণয়নের পক্ষে ভোট দেন। এরপর শুক্রবার সংবিধানের পাঁচটি অনুলিপিতে স্বাক্ষর করেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। ভোটে ‘নতুন সংবিধানের’ বিপক্ষে ভোট পড়েছিল মাত্র ২৫টি। ছোট ছোট দলের সদস্যরা এই ভোট বর্জন করে।
নতুন সংবিধানে নেপালকে সাতটি প্রদেশে ভাগ করা হয়েছে। এসব ভাগ নিয়ে বৈষম্যের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় সম্প্রতি সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীগুলো উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভে নেমেছিল। তাদের বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিলে অন্ততপক্ষে ৪০ জন নিহত হন।
নতুন সংবিধান কার্যকরের ঘোষণা দেওয়ার পর পরই নতুন করে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে কাঠমান্ডুতে এক সহিংসতায় পুলিশসহ ৩৮জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে নতুন সংবিধান ‘কার্যকর’ হওয়ার পর এক টুইটার বার্তায় প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা বলেছেন, ‘জনতার সংবিধান পাস হওয়া সব নেপালির জন্যই গর্বের বিষয়।’