ক্ষোভ ও কান্নায় যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার কাভানার

Looks like you've blocked notifications!
সিনেটের বিচারিক কমিটির শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ব্রেট কাভানা। ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদের মনোনয়ন ধরে রাখতে ব্রেট কাভানা রাগ ক্ষোভ এবং কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কাভানাকে মনোনীত ঘোষণার পর থেকেই তাঁ বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠতে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিন ব্লাসি ফোর্ড অভিযোগ করেন, ৩৬ বছর আগে কাভানা তাঁকে যৌন হয়রানি করেছিল। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের শুনানিতে জানিয়েছেন, তিনি শতভাগ নিশ্চিত যে কাভানাই এটি করেছিলেন।

ওই শুনানিতে অংশ নিয়ে কাভানা একে ‘রাজনৈতিক আক্রমণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গতকাল কাভানা এ বিষয়ে সিনেটের কমিটির সামনে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, ক্ষোভে কেঁদে ফেলেন। তবে তাঁরা দুজন আলাদা আলাদা সময়ে সিনেট কমিটির শুনানিতে অংশ নেন।

সিনেটের কমিটিতে শুনানিকালে ব্লাসি ফোর্ডের কণ্ঠেও আবেগ ছিল। এ সময় তিনি বলেন, ‘কাভানা যা করেছিল তাতে আমি ভেবেছিলাম, সে আমাকে ধর্ষণের পর দুর্ঘটনাবশত হত্যাও করতে পারে।’ যৌন হেনস্তার যে অভিযোগ ফোর্ড তুলেছেন, সেটি হচ্ছে ৩৬ বছর আগে কাভানা ও তিনি মেরিল্যান্ডের একটি স্কুলে পড়ার সময়ের এক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময়ের।

সিনেটের ওই বিচারিক কমিটির সামনে কাভানা বলেন, ‘আমি সিনেট, পুরো জাতি, আমার পরিবার ও ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে হলফ করে বলছি, এ বিষয়ে আমি জড়িত নই, আমি নির্দোষ।’ এ সময় কাভানা দাবি করেন, তিনি ‘নোংরামি এবং নিশ্চিত চরিত্রহনন প্রচেষ্টার শিকার’।

শুনানির পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় কাভানা সম্পর্কে বলেন, ‘তাঁর (কাভানা) বক্তব্য ছিল শক্তিশালী, সততাপ্রসূত এবং গোছানো।’ ডেমোক্রেটদের আক্রমণ করে ট্রাম্প বলেন, খুঁজে খুঁজে বের করে একেকজনকে ধ্বংস করার যে নীতি ডেমোক্রেটরা নিয়েছে, তা লজ্জাজনক।

নাম না প্রকাশ করে এক জ্যেষ্ঠ সিনেটরের সূত্রে রয়টার্স জানায়, শনিবার বিচারপতি নির্বাচনে ১০০ সিনেটরের চূড়ান্ত ভোট প্রক্রিয়ার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হতে পারে। বর্তমানে সিনেটে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির ৫১/৪৯ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সিনেটের ওই বিচারিক কমিটিতে রিপাবলিকানদের ১১-১০ ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো অ্যাল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিস্টিন ব্লাসি ফোর্ড পুরো নয় ঘণ্টার শুনানিতে চার ঘণ্টা হাজির ছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘১৯৮২ সালে কাভানা মদ্যপ অবস্থায় তাঁর শরীরের কাপড় টেনে খুলে ফেলতে উদ্যত হয়েছিলেন।’ যখন কাভানার বয়স ১৭ বছর এবং তাঁর বয়স ১৫ বছর।

নিজে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারক ব্রেট কাভানাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই কাভানার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন।