দরজা চাপানোর পাথরের দাম প্রায় কোটি টাকা!

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে পাওয়া ১০ কেজি ওজনের উল্কাপিণ্ড। ছবি : সংগৃহীত

কথায় আছে, পাথরে ভাগ্য ফেরে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে সামান্য এক পাথর অসামান্য হয়ে দেখা দেওয়ায় কোটিপতি হওয়ার পথে এক ব্যক্তি।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তির বাড়িতে ৩০ বছর ধরে দরজা চাপা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হতো একটি পাথর। সম্প্রতি সে পাথরের জন্মঠিকুজি ঘেঁটে জানা যায়, এ পাথর যেই সেই পাথর নয়; মহাকাশ থেকে আসা অতি মূল্যবান এক উল্কাপিণ্ড, যার দাম প্রায় কোটি টাকা!

এ ব্যাপারে উল্কাপিণ্ডের মালিক ওই ব্যক্তি জানান, ৩০ বছর আগে ১৯৮৮ সালে তিনি বর্তমান বাড়িটি কেনেন। সে সময় ১০ কেজি ওজনের ওই উল্কাপিণ্ডটিও তাঁর হাতে আসে। তিনি জানতেন যে ওটি মহাকাশ থেকে আসা উল্কাপিণ্ড। বাড়ির আগের মালিক তাঁকে সে বিষয়ে জানান। পিণ্ডটি ১৯৩০-এর দশকে উল্কাপাতের সময় বাড়ির খামারে এসে পড়ে।

ঘটনা যাই হোক, বাড়ির দুই মালিকের কেউই ধারণা করতে পারেননি যে উল্কাপিণ্ডটি এত মূল্যবান কিছু। ফলে তাঁরা সেটি অবহেলায় ফেলে রেখেছিলেন। মাঝেমধ্যে সেটি দরজা চাপা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হতো।

চলতি বছরের শুরুতে বাড়ির বর্তমান মালিক লোকমুখে শুনতে পান, মানুষজন উল্কাপিণ্ডের ছোট ছোট টুকরো বিক্রি করেন। এ খবর শুনে তিনি সেন্ট্রাল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় ও ভূ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ভূ-তত্ত্ববিদ মোনা সারবেস্কোর কাছে তাঁর উল্কাপিণ্ডটি নিয়ে যান।

তখনই জানা যায় উল্কাপিণ্ডটির গুরুত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিবৃতিতে মোনা বলেন, ‘আমি একবাক্যে বলতে পারি যে এটি খুব মূল্যবান। আমার সারা জীবনে দেখা শ্রেষ্ঠ নমুনা এটি। এটি আর্থিক বা বৈজ্ঞানিক সব ভাবেই খুব দামি।’ ওই টুকরোটি প্রায় এক লাখ ডলার (প্রায় ৮৩ লাখ) মূল্যমানের বলে জানান মোনা।

এখন পর্যন্ত উল্কাপিণ্ডটি বিক্রি করা হয়নি। বিবিসি জানায়, বিখ্যাত জাদুঘর ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘স্মিথসনিয়ান ইনস্টিটিউশন’ সেটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আপাতত সেন্ট্রাল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় পড়ানোর কাজে নমুনা হিসেবে সেটি ব্যবহার করছে।