তালেবানের হামলা উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আফগানদের ভিড়

Looks like you've blocked notifications!
তালেবানের হামলা ও ভোট বর্জনের হুমকি উপেক্ষা করে আফগানরা গতকাল শনিবার জাতীয় নির্বাচনের ভোটে অংশ নেন। ছবি : রয়টার্স

আফগানিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিনে গতকাল শনিবার তালেবানের হামলায় কাবুলে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সারাদেশে ছোটখাটো বেশ কয়েকটি হামলা চাললেও ভোটাররা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছেন।

পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে ভোট গ্রহণে দেরি হওয়ায় রোববারও কিছু আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। নতুন বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে জালিয়াতির অভিযোগে গতকাল ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তবে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় গণমাধ্যমে গতকালের ভোটে বিপুল পরিমাণ ভোটারের উপস্থিতির কথা বলা হলেও কী পরিমাণ আফগান ভোটার প্রথম দিনে ভোট দিয়েছেন, সে সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।

ভোটের ফল পেতে প্রায় দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে, দুদিন আগে কান্দাহারে তালেবানের হামলায় সেখানকার পুলিশপ্রধান ও গোয়েন্দাপ্রধান নিহতের ঘটনায় প্রদেশটিতে ভোট গ্রহণ এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে।

সাত হাজার ৩৫৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে চার হাজার ৫৩০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে।

আড়াইশ আসনের বিপরীতে দুই হাজার ৪৫০ প্রার্থী এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের জন্য একটি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী প্রার্থীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এবারের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ৮৮ লাখ ভোটারের ৫০ শতাংশই ভুলভাবে ও জালিয়াতির মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল শুরু হওয়া নির্বাচন দেশটির পশ্চিমা মদদপুষ্ট সরকারের জন্য বিরাট এক পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেনা ও পুলিশ বাহিনীর জন্যও নিরাপত্তা বিধান করার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ ২০১৪ সালে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন জোটের প্রস্থানের পর এটিই প্রথম নির্বাচন।

ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও ভোট গ্রহণে জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে। জাতিসংঘের স্থানীয় মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবশ্যই নির্বাচন স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য হতে হবে।

বিপুল পরিমাণ ভোটারের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে ভোটারদের ধন্যবাদ জানানো হয় জাতিসংঘের ওই বিবৃতিতে। এ ছাড়া এতে সফলভাবে পুরো ভোট গ্রহণ শেষ করারও তাগিদ দেওয়া হয়।