যুক্তরাষ্ট্রে চাঞ্চল্যকর প্যাকেট বোমার ঘটনায় আটক ১

Looks like you've blocked notifications!
বোমার প্যাকেট পাঠানোর ঘটনায় সন্দেহভাজন আটক সেজার সেয়ক। তিনি একজন পেশাদার কুস্তিগির। ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু সমালোচকের ঠিকানায় ডাকযোগে অন্তত ১৪টি বোমার প্যাকেট পাঠানোর ঘটনায় টানা চারদিনের অভিযানের পর সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

আটক সেজার সেয়ক (৫৬) একজন পেশাদার কুস্তিগির (রেসলার) এবং তিনি এক সময় বিশেষ ধরনের অর্ধনগ্ন নৃত্যও করতেন। রয়টার্স জানিয়েছে, কোনো এক অনুষ্ঠানে আলো বন্ধ করার চেষ্টার অভিযোগে ইলেক্ট্রিক কোম্পানিকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।

ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের প্লান্টেশন এলাকার একটি অটো পার্টসের দোকানের সামনে থেকে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) গোয়েন্দারা সেজার সেয়ককে আটক করে। তাঁকে আটকের পর হেলিকপ্টারে করে তুলে নিয়ে যান এফবিআই এজেন্টরা।

সেজারকে আটকের সময় তাঁর একটি সাদা গাড়ি আটক করা হয়, যার বন্ধ জানালার ওপর ট্রাম্প সমর্থনকারী পোস্টার সাঁটানো ছিল। পোস্টারে সিএনএনকে ভৎসনামূলক বক্তব্য লেখা রয়েছে এবং ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের ছবির ওপর লালক্রস চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে।

এফবিআই ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার রে বলেছেন, ‘সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করতে আঙ্গুলের ছাপ এবং ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তবে এই আটকের মধ্য দিয়ে বোমার হুমকি মিটে যাচ্ছে না।’

রে বলেছেন, এখনো হয়তো কোনো কোনো বোমার প্যাকেট গন্তব্যে পৌঁছায়নি বা পথে রয়েছে।‌

সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার সান ফ্রান্সিসকো শহরের বাইরে একটি পোস্ট অফিসে ১৪তম বোমার প্যাকেট পাওয়া গেছে, যেটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থক ও অন্যতম দাতা ধনাঢ্য ব্যক্তি টম স্টেয়ারের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল।

এর আগে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোর ঠিকানায় বোমার প্যাকেট পাঠানো হয়। নিরো সম্প্রতি ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করে আলোচনায় আসেন।

তার আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনকেও একই রকম বোমার প্যাকেট পাঠানো হয়। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ধনাঢ্য দাতা জর্জ সরোসসহ সর্বমোট ১৪ জনের ঠিকানায় হলুদ প্যাকেটে করে বোমা পাঠানো হয়।

প্যাকেটের মধ্যে থাকা বোমায় সালফারসহ বিস্ফোরক রয়েছে, তবে একটি বোমাও বিস্ফোরণ ঘটেনি। সব বোমা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দারা ধ্বংস করেছেন।