বাংলাদেশি হাজিদের তথ্য জানতে সময় লাগবে
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে হতাহত হাজিদের পরিচয় জানতে সময় লাগবে। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতালে আহত হাজির সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে নিহতেরও সংখ্যা। তবে এ ব্যাপারে প্রকৃত তথ্য দেবে সৌদি সরকার।
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। তবে তাঁদের সংখ্যা কত, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি তাঁরা। কেউ নিহত হয়েছেন কি না, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ বিকেল ৫টার দিকে গোলাম মসিহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে, কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাঁরা মিনা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে আহত-নিহতদের বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। কারণ, হাসপাতালের ভেতরে চিকিৎসক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমি আর কিছু সময়ের মধ্যেই হাসপাতালটিতে পৌঁছাব। তখন যদি তারা আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়, তাহলে বিস্তারিত জানতে পারব।’
সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় হজ কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আহত ও নিহত হাজিদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক আছে কি না, তা জানার জন্য আমাদের কর্মকর্তারা বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। হতাহত হাজিরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আহত হাজিদের অনেকে মারাও যাচ্ছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘সৌদি সরকার হতাহতদের ব্যাপারে সম্পূর্ণ তথ্য দেবে। এরপরই আমরা বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পর্কেও নিশ্চিত তথ্য পাবো। এর আগে পুরো চিত্রটা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নাগরিকরা আছেন কি না জানতে চাইলে জেদ্দায় নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলে এ কে এম শহীদুল করিম বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের তথ্য আসেনি। বাংলাদেশি নাগরিক আহত থাকতে পারে। তবে আমি নিশ্চিত নই।’
এর আগে আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিনা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষমাণ মক্কার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব আজিজুর রহমান টেলিফোনে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখনো বাংলাদেশি কারো হতাহতের খবর পাইনি। এ মুহূর্তে মিনা হাসপাতালের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আহতদের চিকিৎসাসেবা দেওয়াটা এখন তাঁদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর পর আহত-নিহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজে যান।