পার্লামেন্ট ভেঙে নির্বাচনের তারিখ দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট

Looks like you've blocked notifications!
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এবার নির্ধারিত মেয়াদের দুই বছর আগেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। আগামী ৫ জানুয়ারি ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল শুক্রবার রাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ওই ঘোষণা দেন।

সংসদ ভেঙে দেওয়া বলতে প্রেসিডেন্ট একটি গেজেটে স্বাক্ষর করেছেন এবং তাতে বলা আছে আগামী ১৭ জানুয়ারি আবার পার্লামেন্ট বসবে। তবে প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তে আদালত বাগড়া দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

দুই সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহেকে বরখাস্ত করে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রভাবশালী নেতা মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে নিযুক্ত করলে শ্রীলঙ্কায় সাংবিধানিক সংকটের সূত্রপাত হয়।

প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্তের পর পার্লামেন্টও আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেন সিরিসেনা। ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের দেশটির সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাঁকে আটকাতেই সংসদ স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। এবার পার্লামেন্টের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন তিনি।

বিক্রমসিংহে অবশ্য নিজেকে এখনো প্রধানমন্ত্রী দাবি করে আসছেন এবং বরখাস্তের আদেশের পর সংসদ অধিবেশন আহ্বান করতে স্পিকারের প্রতি আবেদন জানান। তাঁর দাবি একমাত্র পার্লামেন্টই তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার অধিকার রাখে। তিনি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবনও নিজের দখলে রেখেছেন।

দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালের শুরুর দিকে সাড়ে চার বছর শেষ করে বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এর আগে শুধু গণভোট বা দুই –তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের মতের ভিত্তিতে সংসদ স্থগিত বা ভেঙে দেওয়া যেতে পারে, অন্যথায় নয়। তবে সিরিসেনার দলীয় আইনজীবীরা জানান, এমনটি করার সুযোগ তাঁর রয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন অবশ্য নির্দেশ মোতাবেক নির্বাচন আয়োজনের আগে সুপ্রিম কোর্টের মতামত জানতে চাইবে।

বিক্রমসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) প্রথমে নির্বাচন কমিশনকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে এবং পরে তারা সুপ্রিম কোর্টের কাছেও যাবে।