‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ’ পুরস্কার নিলেন প্রধানমন্ত্রী
পরিবেশের ওপর অনুপ্রেরণামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পুরস্কার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার সকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়।
পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছেন এমন রাষ্ট্রের নেতা, সুশীল সমাজের সদস্য ও বেসরকারি খাতের মোট পাঁচ ব্যক্তিকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। চ্যাম্পিয়নস অব দি আর্থ জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা। পরিবেশ বিষয়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নীতিনির্ধারণ, ব্যবসা, সুশীল সমাজ ও বিজ্ঞান—এই চারটি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের পাঁচজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
পরিবেশ নিয়ে ইতিবাচক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু করে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি।
এ বছর রাজনৈতিক নেতা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া অন্য যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন তাঁরা হলেন—বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, ব্যবসা ক্যাটাগরিতে ইউনিলিভারের সিইও পল পোলম্যান ও ব্রাজিলের প্রসাধন কোম্পানি নাচুরা ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণী অবৈধভাবে পাচারের হাত থেকে রক্ষায় কাজ করা ব্ল্যাক মাম্বা অ্যান্টি পোচিং ইউনিট।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬০ জনের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যান তিনি। এই অধিবেশন চলাকালেই ইউএনইপির দেওয়া চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এ ছাড়া টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) কাছ থেকে ‘টেকসই উন্নয়নে আইসিটি পুরস্কার’ গ্রহণ করেন।