ইবোলা কারফিউ তুলে নেওয়ায় লাইবেরিয়ায় উল্লাস

Looks like you've blocked notifications!
লাইবেরিয়ান পথচিত্রশিল্পী স্টিফেন দো মরণঘাতী ইবোলা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়ায় মুরালের ওপর ছবি আঁকেন। ছবি : এএফপি

লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়ায় ইবোলা কারফিউ তুলে নেওয়ায় রাতভর গান ও পানোৎসবে মেতে ওঠে জনসাধারণ। উল্লাস গতকাল সকাল পর্যন্ত চলে। খবর এএফপির।

দীর্ঘ কয়েক মাস মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় সেখানকার জনসাধারণকে বিধিনিষেধের মধ্যে থাকতে হয়। সেখানে হাজার হাজার লোকের প্রাণহানি ও অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। 

তবে চার মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশটি ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। সেখানকার সীমান্ত পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে শুরু করেছে এবং রাতের বেলার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।
 
লাইবেরিয়া, প্রতিবেশী গিনি ও সিয়েরালিয়েনে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নয় হাজার ৫০০ লোক ইবোলা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
 
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, জানুয়ারিতে মহামারীর কারণে ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো) পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল। 

মহামারী তীব্র আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ৬ আগস্ট থেকে সেখানে রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। কিন্তু পরে মধ্যরাত থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকে । 

শুক্রবার সেখানকার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তীব্র অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ইলেন জনসন সিরলিফ চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে আলোচনার জন্য সাক্ষাৎ করবেন।