বানরের বিদ্যালয়

Looks like you've blocked notifications!
চীনের শেনডং প্রদেশের ডঙ্গিয়ং শহরে খোলা হয়েছে দেশটির প্রথম বানরের স্কুল যেখানে এদের শেখানো হয় বিভিন্ন শারীরিক কসরত। ছবি : ইকিলু ডটকম/ঝাং উই

স্কুলড্রেস পরে একসারি বেঞ্চে বসে আছে তারা। শিক্ষকদের কাছ থেকে তারা হাতে-কলমে শিখছে খেলাধুলা, গানবাজনাসহ বিভিন্ন বিষয়। আপাতদৃষ্টিতে কোনো পার্থক্য দেখা না গেলেও আর দশটি বিদ্যালয় থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। এই বিদ্যালয়ের সব ছাত্রই যে বানর! চীনের শেনডং প্রদেশের ডঙ্গিয়ং শহরে খোলা হয়েছে দেশটির প্রথম বানরের স্কুল। 

সম্প্রতি চীনের বানরের স্কুল কিছু বিদেশি ছাত্র এসেছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ৩০টি জাপানিজ মেক্যাকস বানর এসে পৌঁছেছে। জাপান থেকে আসা বানরগুলো ‘স্নো মাংকি’ বলেও পরিচিত।
চীনের স্কুলে বানরদের কী পড়ানো হয়? তাঁরা স্কুলের বাচ্চাদের মতোই বই পড়ে। না, বানরগুলো শেখে কিছু শারীরিক কসরত। যেমন জাপোনিজ ম্যাকাকুয়েস বানরগুলো শিখছে কীভাবে হাত মেলাতে হয়, স্যালুট দিতে হয় অথবা গুনতে হয় এমন সব বিষয়। আরো আছে বিভিন্ন শারীরিক কসরত এবং ড্রামস, গিটার বাজানো। 
চীনের স্কুলে বানরদের শারীরিক কসরত, ড্রামস বাজানোর শেখার লক্ষ্য হলো মানুষকে আনন্দ দেওয়ায় এদের প্রস্তুত করা। 

পশুপাখির জন্য প্রতিষ্ঠান খোলা নতুন কিছু নয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও বানরদের জন্য হোটেল আছে। এ ছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাখি ও পশুদের জন্য শেখানো বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আছে।