সিরিয়ার পর আফগানিস্তান থেকেও ‘সরছে’ মার্কিন সেনা

Looks like you've blocked notifications!
আফগানিস্তান থেকে কয়েক হাজার সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। ছবি : বিবিসি

আফগানিস্তান থেকেও কয়েক হাজার সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। গতকালই সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আর তার পরেই আজ শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধরত থাকা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের তথ্য উল্লেখ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক মাসের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সাত হাজারের মতো মার্কিন সৈন্যকে সরিয়ে নেবে মার্কিন প্রশাসন। 

তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এ ব্যাপারে তেমন কোনো ঘোষণা এখনো দেয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের সূত্রে  প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর গতকাল পদত্যাগ করেছেন ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস। পদত্যাগপত্রে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি ম্যাটিস।

নির্বাচনের আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এরপর গত বছর তিনি জানান, জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানের পুনরুত্থানের মুখে দেশটি রক্ষা করতে তিনি সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখবেন।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর এর দায় স্বীকার করেন আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন। এর পরে লাদেনকে মার্কিন সরকারের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায় আফগানিস্তানকে নিয়ন্ত্রণে রাখা তালেবান। এরপরই তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ লাদেনকে খুঁজে পেতে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালান এবং সেনা মোতায়েন করেন।

২০১১ সালে পাকিস্তানে লাদেনকে হত্যাও করা হয়। এরপর ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটিতে সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মার্কিন সেনাদের আর প্রত্যাহার করা হয়নি; বরং গত বছর আরো অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।