ফোন-কম্পিউটারে নজরদারি চালাবে মোদি সরকার

Looks like you've blocked notifications!

এখন থেকে কোনো ব্যক্তিকে সন্দেহ হলেই তাঁর ফোন বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো। চাইলে কোনো কম্পিউটার বাজেয়াপ্তও করতে পারবে।

দেশটির ১০টি তদন্তকারী সংস্থাকে এমন অনুমোদন দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার এই বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে একটি চিঠি পাঠায় দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবা এক নির্দেশে জানান, ওই সংস্থাগুলো এবার থেকে ভারতের সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তির ফোনকল এবং ইন্টারনেট ডাটায় নজরদারি করতে পারবে। চাইলে তাঁর কম্পিউটারে নজরদারি চালিয়ে সব তথ্য মনিটর করতে পারবে। এমনকি সন্দেহ হলে কোনো ব্যক্তির ফোনেও চলবে এই নজরদারি।

অনুমোদন পাওয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো হলো—আইবি, নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো, ইডি, কেন্দ্রীয় রাজস্ব দপ্তর, রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ, সিবিআই, এনআইএ, ডিরেক্টর অব সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স (জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব এবং আসাম) এবং দিল্লি পুলিশ কমিশনার।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এই প্রথমবার কম্পিউটারে থাকা যেকোনো ডাটা স্ক্যান করার অধিকার দেওয়া হলো তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে। এর আগে সন্দেহভাজনদের ফোনকল ট্যাপ করা যেত বা ইমেইল চেক করতে পারতেন গোয়েন্দারা। এবার তথ্যও দেখতে পারবেন। প্রয়োজনে তাঁরা কোনো ব্যক্তির কম্পিউটার বাজেয়াপ্তও করতে পারবেন। ভারতের ৬৯(১) আইটি অ্যাক্ট অনুযায়ী এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে।

যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় মুখর হয়েছে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এইভাবে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কেন্দ্র সরকার এটা করতে পারে না। এটা অসাংবিধানিক।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, ‘কেন সাধারণ মানুষ নজরবন্দি হয়ে থাকবেন? এটা বিপজ্জনক।’