অস্ট্রেলিয়ায় গুলিবর্ষণকারী কিশোরের বোনের ব্যাপারে তদন্ত

Looks like you've blocked notifications!
সিডনি শহরে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে শুক্রবার গুলিবর্ষণের ঘটনার জন্য দায়ী কিশোরের বোনের ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ। ছবি : নিউজ ডট এইউ

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) রাজ্যের সিডনি শহরে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে শুক্রবার গুলিবর্ষণের ঘটনার জন্য দায়ী কিশোরের বোনের ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ। সিডনির পারাম্যাটা এলাকায় পুলিশের এক কর্মচারীক হত্যার জন্য দায়ী কিশোর ফরহাদ খলিল মোহাম্মদ জাবেরকে (১৫) জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে তার বোনের হাত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় আজ রোববার এক অনুষ্ঠানে জুলি বিশপ সিডনির পারাম্যাটা এলাকার ঘটনার তদন্তের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। ওই ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে কিশোরদের মধ্যে জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়া রুখতে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নিউজ ডট এইউএর প্রতিবেদনে বলা হয়, সিডনির পারাম্যাটা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী কিশোর ফরহাদ খলিল মোহাম্মদ জাবেরের বড় বোন মাত্র কয়েকদিন আগে তুরস্ক গিয়েছিল। এর কয়েকদিনের মাথায়ই ফরহাদ খলিল এনএসডব্লিউ পুলিশ কার্যালয়ের সামনে গুলিবর্ষণ করে এক কর্মচারীকে হত্যা করে। পরে পুলিশের গুলিতে সেও নিহত হয়। বোনের তুরস্ক ভ্রমণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়া বা অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তদন্তের বিস্তারিত এখনই বলা সম্ভব নয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ বলেন, ১৫ বছরের একটি কিশোর যদি জঙ্গিবাদ বা রাজনৈতিক মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটায়, তবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পুরো জাতিকেই। আর কিশোরদের মধ্যে জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে হলে পরিবার ও মুসলমান সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করতে হবে। এই সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। পরিবারই হবে কিশোরদের মধ্যে জঙ্গিবাদের বিস্তার রোধে প্রথম অস্ত্র।

অপরদিকে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরহাদ খলিল চরমপন্থী দল হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। শুক্রবার হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে ফরহাদ পারাম্যাটা মসজিদে হিজবুত তাহরীরের একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। এর আগে এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হিজবুত তাহরীরের নেতারা বলছেন, যে কোনো বয়সেই একজন খিলাফতের যোদ্ধা হতে পারে। তবে স্থানীয় হিজবুত তাহরীরের নেতারা এই ফরহাদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।