‘ট্রাম্পের সঙ্গে ফের বৈঠকের’ আগে কিমের ‘ডানহাত’ যুক্তরাষ্ট্রে

Looks like you've blocked notifications!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাত্রার আগে বেইজিং বিমানবন্দরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের ‘ডানহাত’ খ্যাত কিম ইয়ং-চোল। ছবি : রয়টার্স

কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ করা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকের আলোচনা বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে। সম্ভাব্য সেই দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনের আগে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার ‘ডানহাত’ হিসেবে পরিচিত কিম ইয়ং-চোল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ট্রাম্প-উনের মধ্যকার দ্বিতীয় বৈঠকের বিষয়টি এগিয়ে নিতেই উত্তর কোরিয়ার সাবেক সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান কিম ইয়ং-চোল সেখানে গেছেন। চোলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে আলোচনার প্রভাবশালী ব্যক্তি মনে করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়নহপ বলছে, আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠক করবেন কিম ইয়ং-চোল। তিনি চীনের রাজধানী বেইজিং হয়ে গেছেন। কিম জং-উনের পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জন্য একটি চিঠি নিয়ে গেছেন চোল।

ধারণা করা হচ্ছে, কিম জং-উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার দ্বিতীয় বৈঠকটি সমাজতান্ত্রিক দেশ ভিয়েতনামে হতে পারে।

কারো নাম উল্লেখ না করে মার্কিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন আগামী ফেব্রুয়ারিতে ‘সরকারি সফরে’ সমাজতান্ত্রিক দেশ ভিয়েতনাম সফর করবেন।”

গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-উনের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যস্থতায় এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে। উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হয়েছে। দীর্ঘদিনের তিক্ততা ভুলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে।

পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার মিত্র দেশ চীন ভ্রমণ করে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।

এদিকে, আলোচনার জন্য সুইডেন যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার  উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কো সন-হুই। সেখানে তিনি ওয়াশিংটনের নিয়োজিত পিয়ংইয়ংয়ের জন্য বিশেষ প্রতিনিধি স্টিফেন বিয়েগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার জেনারেল কিম ইয়ং-চোল একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি ২০১০ সালে সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান থাকার সময় দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজে পরিকল্পিতভাবে একটি হামলা করা হয়। এ হামলার জন্য কিম ইয়ং-চোলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়।