চাঁদের বুকে গজানো চীনের গাছ মরে গেছে

Looks like you've blocked notifications!
চীনের চন্দ্রযানে বিশেষ আবরণের ভেতর থাকা তুলাগাছের বীজ থেকে চারা গজিয়েছে বলে দাবি করে চীন। ছবি : সংগৃহীত

মাইনাস ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কারণে চাঁদের বিপরীতপৃষ্ঠে চীনের চন্দ্রযানে বীজ থেকে গজানো গাছের চারাগুলো মরে গেছে। সূর্যের আলোর ওপর নির্ভরশীল গাছের চারাগুলো দিনের বেলায় গজিয়ে রাত নেমে আসতেই মারা পড়েছে।

কয়েক দিন আগে চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সদ্য চাঁদের বিপরীতপৃষ্ঠে তাদের অবতরণ করা চন্দ্রযান চ্যাঙ-৪-এ থাকা তুলাগাছের বীজ থেকে চারা গজানোর কথা জানায়। প্রথমে তুলাগাছের বীজ থেকে, পরে সরিষা ও আলুবীজ থেকে গাছের চারা গজাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি। তবে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, তুলাবীজ ছাড়া অন্য কোনো বীজ থেকে চারা গজায়নি।

‘বাক্সের মধ্যে গজানো গাছ চন্দ্রপৃষ্ঠের রাত্রিকালীন আবহাওয়া সহ্য করতে পারেনি, তাই মরে গেছে’—দ্য গার্ডিয়ানকে এ কথা বলেন গবেষণাকর্মটির প্রধান নকশাবিদ চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শি জেংজিন।

তবে এই প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠে কোনো জীবন্ত কিছু হলো, একে ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণার পথে চরম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। এটি সফল হলে নভোচারীরা মহাকাশ গবেষণাকালে নিজেদের খাবারের জোগান দিতে পারবেন, রসদপত্র সংগ্রহ করতে পৃথিবীতে নেমে আসতে হবে না। চাঁদে বা অন্য গ্রহগুলোতে ঘরবসতি করে দীর্ঘদিন অবস্থানও করতে পারবেন।

৩ জানুয়ারি চন্দ্রপৃষ্ঠে নামা চ্যাঙ-৪ গত রোববার প্রথম রাতে প্রবেশ করে, এখন এই প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। রাত শেষ হতে পৃথিবীর সময় অনুযায়ী দুই সপ্তাহ মতো লেগে যাবে, এরপর আবার এর কার্যক্রম জেগে উঠবে। আবার মধ্য দুপুরেও এর সব বন্ধ হয়ে যাবে, কারণ সে সময় সেখানে সূর্য মাথা বরাবর চলে আসে, তাপমাত্রা থাকে ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গাছের চারা ও বীজগুলো চন্দ্রপৃষ্ঠের আবহাওয়ার কোনো ক্ষতি করবে না বলে দাবি করেছে চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এগুলো ক্রমে পচে যাবে বলে জানিয়েছে তারা। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে এর আগে সফলভাবে গাছ লাগানো গেলেও চাঁদের বুকে সবুজ কিছু এই প্রথম।