ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউর সঙ্গে থেরেসাকে আলোচনার তাগিদ

Looks like you've blocked notifications!

ব্রেক্সিট চুক্তিতে আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত নিয়ে উল্লেখিত ধারা, যা ‘ব্যাকস্টপ’ নামে পরিচিত, পরিবর্তন করে ‘বিকল্প একটি ব্যবস্থা’ গ্রহণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে আলোচনার তাগিদ দিয়েছেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা।

সরকারি দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রভাবশালী সংসদ সদস্য স্যার গ্রাহাম ব্রেডির উপস্থাপন করা বিলটি সংসদে ১৬ ভোটের ব্যবধানে পাস হয়েছে। এর পক্ষে পড়ে ৩১৭ ভোট আর বিপক্ষে ৩০১ ভোট।

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে প্রস্তাবটির পক্ষে সংসদকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যাতে করে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে একটি ‘আইনগত বাধ্যবাধকতামূলক পরিবর্তন’ আনা সম্ভব হয়।

প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর থেরেসা মে বলেছেন, ‘আজ রাতে সংসদের সম্মানিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যরা বলেছেন, তাঁরা ব্যাকস্টপ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ব্রেক্সিট চুক্তিকে সমর্থন দেওয়ার পক্ষে।’

‘ফলে এটা এখন পরিষ্কার যে, এই সংসদে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্য আছেন, যাঁরা একটি চুক্তির মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে চান।’  

‘যত দ্রুত সম্ভব’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে সংসদে একটি ‘অর্থপূর্ণ ভোটের’ জন্য নিজের খসড়া পরিকল্পনা ফিরিয়ে আনবেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

যদিও ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাকস্টপ ব্রেক্সিটের একটি অংশ, এটার আইনি কোনো পরিবর্তন আনা হবে না।

অন্যদিকে, গতকাল রাতে ব্রিটিশ সংসদের সদস্যরা কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টিও নাকচ করে দিয়েছেন। তারপরই বিরোধীদলীয় লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, যেহেতু ব্রেক্সিট থেকে ‘চুক্তিহীন’ বেরিয়ে আসার বিষয়টি সমাধা হয়েছে, তাই তিনি এখন এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। 

ব্রিটেনের পাশেই রয়েছে স্বাধীন আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ। ব্রিটেনের নর্দান আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে স্বাধীন আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে। ব্যাকস্টপ হলো, এই সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার নিশ্চয়তা। আর উন্মুক্ত রাখার অর্থই হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনের অধীনে থাকা। যুক্তরাজ্য যদি ইইউ থেকে বেরিয়ে আসে, তাহলে এই সীমান্ত কেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনের অধীনে থাকবে—তা নিয়েই জটিলতার সূচনা।   

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের আনা একটি বিল বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। তার পর আস্থা ভোটের মুখোমুখি হন থেরেসা মে। সেটি কোনোমতে উতরে যান তিনি।