ভারতের মর্টার হামলায় ৪ সাধারণ নাগরিক নিহত : পাকিস্তান

Looks like you've blocked notifications!

কাশ্মীরে জইশ-ই-মোহাম্মদের একাধিক ঘাঁটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলার পর মর্টার হামলায় দুই শিশুসহ চার সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে বলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা শরিক তারিকের বরাত দিয়ে আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার নাইখল সেক্টরের একটি বাড়িতে এই মর্টার হামলা চালায় ভারতীয় সেনারা। এতে ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী, তাঁর দুই শিশুসন্তানসহ চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো তিনজন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে  ৩টার দিকে ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বালাকোটে ‘জঙ্গি আস্তানা’য় ওই হামলা চালায়। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এতে তিনশ ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতীয় বিমানবাহিনীর নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রমের কথা স্বীকার করলেও হামলায় হতাহতের কথা স্বীকার করেনি পাকিস্তান।

এর মধ্যেই বিকেলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। যদিও এতে বিশেষ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জম্মু, রাজৌরি, পুঞ্চের ৫৫টি ভারতীয় চৌকিতে গোলাগুলি ছুড়েছে পাকিস্তান। এতে পাঁচ সেনা আহত হয়েছে। সীমান্তসংলগ্ন এলাকার গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরোতে মানা করা হয়েছে।

প্রতিবেশী দুই দেশের হামলা-পাল্টা হামলার কারণে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে সীমান্তে। দুই দেশই সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা জারি রেখেছে। মজুদ করা হয়েছে অস্ত্র ও সেনা।

মঙ্গলবার ভোরে হামলার পরপরই সকালে জরুরি এক বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, ভারতীয় বিমানবাহিনীর লাইন অব কন্ট্রোল অতিক্রমের ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি এক বৈঠক তলব করেছেন। পরে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়ে দেন, পাকিস্তান নিজের সময়-সুযোগ মতো এর জবাব দেবে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় অভিযুক্ত জইশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় এ হামলা চালাল ভারতীয় বিমানবাহিনী।