লাদেনপুত্রের নাগরিকত্ব কেড়ে নিল সৌদি আরব

Looks like you've blocked notifications!
ওসামা বিন লাদেন (বায়ে), লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেন (ডানে)। ছবি : সংগৃহীত

আল কায়েদার প্রাক্তন নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিয়েছে সৌদি আরব।

সরকারি গেজেটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা যায়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র সরকার হামজা বিন লাদেনের হদিস দেওয়ার বিনিময়ে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় আট কোটি টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্র হামজাকে বর্তমানে আল কায়েদার অন্যতম প্রধান নেতা ও বিশ্বসন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করে। 

৯/১১ হামলার সময় আফগানিস্তানে বাবার পাশে থাকা হামজার বয়স বর্তমানে আনুমানিক ৩০ বছর। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট আফগানিস্তানে আক্রমণ চালালে আল কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতারা সেখান থেকে পাকিস্তানে আশ্রয় নেন। সে সময় হামজা লাদেনের সঙ্গে ছিলেন বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিং ইনস্টিটিউট জানায়।

পরে ২০১৫ সালে আল-কায়েদার তৎকালীন প্রধান নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি এক অডিও বার্তায় হামজাকে সংগঠনটির নতুন নেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।

২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার হামজাকে বিশ্বসন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে।  পশ্চিমা দেশগুলোতে বিভিন্ন হামলার জন্য তাঁকে দায়ী মনে করা হয়। এ ছাড়া পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে হামজা যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর ব্যাপারেও ঘোষণা দেন।

শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও দেশটির অধিবাসীদের লক্ষ্য করা হবে বলে জানান হামজা। এ ছাড়া আরব উপদ্বীপে ইয়েমেনের আল কায়েদার সঙ্গে একত্রিত হয়ে বর্তমান সৌদি আরবের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে তিনি দেশটির বিভিন্ন গোত্রের প্রতি আহ্বান জানান।  

২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে এক ভবনে হামলা চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী। হামজা সে সময় ইরানে গৃহবন্দি ছিলেন বলে মনে করা হয়। হামলার স্থলে পাওয়া কাগজপত্র থেকে ধারণা করা হয় সে সময় পুনরায় বাবা ছেলে এক সঙ্গে হওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন।