ক্রাইস্টচার্চে হামলায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ হস্তান্তর সন্ধ্যা থেকে
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের সময় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৫০ জনের মরদেহ হস্তান্তরের কাজ শুরু করছে নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন জানান, স্থানীয় সময় আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা শুরু হবে। প্রথমে কয়েকজনের মরদেহ দেওয়া হবে। আশা করা যাচ্ছে, বুধবারের মধ্যে সবার মরদেহ হস্তান্তরের কাজ শেষ হবে।
এদিকে নিউজিল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, তারা মসজিদে বন্দুক হামলায় নিহত আরো একজনের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। এ নিয়ে নিহতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ইসলামী রীতি আইন অনুযায়ী, মৃত্যুর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৃতদেহ গোসল করিয়ে কবর দিতে হয়, অন্তত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। কিন্তু ময়নাতদন্তের কাজের জন্যই মরদেহ হস্তান্তরে দেরি হচ্ছে। এদিকে নিহতদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন মরদেহ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষা করছেন।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য কাজ করছেন তাঁরা। তবে এর আগে নিহতদের মৃত্যুর কারণ ও পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে কর্তৃপক্ষকে। তিনি আরো জানান, গুলিবিদ্ধ ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্রাইস্টচার্চে গত শুক্রবার দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পরদিন শনিবার নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনার জন্য প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন কিউই প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন। তিনি বলেন, আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অস্ত্র নীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর আটক প্রধান সন্দেহভাজন ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে শনিবার ক্রাইস্টচার্চ জেলা আদালতে হাজির করা হয়। তাকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাকি দুজন এখনো পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রেন্টন ট্যারেন্ট অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মসজিদে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হন।