ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা, ৯ পাকিস্তানি নিহত

Looks like you've blocked notifications!
ক্রাইস্টচার্চে নিহতদের প্রদি শ্রদ্ধা জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি : সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নয় পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন। আরো তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে বলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন।

মুখপাত্র মোহাম্মাদ ফয়সাল আজ রোববার এক টুইট বার্তায় জানান, ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় জিসান রেজা, তার বাবা গুলাম হোসেন এবং মা কারাম বিবির নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা এপি ও ইউএনবি এ তথ্য দিয়েছে।

এর আগে শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরাইশী ছয় পাকিস্তানির নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তাঁরা হলেন- সোহাইল শহীদ, সৈয়দ জাহানদাদ আলী, সৈয়দ আরেব মাহমুদ, মাহবুব হারুন, নাঈম রশিদ এবং তার ছেলে তালহা নাঈম।

রশিদ ও নাঈম হামলাকারীর বন্দুক ছিনিয়ে নিতে গিয়ে নিহত হন।

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়কালে হামলায় নিহত ৫০ জনের মরদেহ হস্তান্তরের কাজ শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন জানান, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা থেকে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা শুরু করবে কিউই কর্তৃপক্ষ। প্রথমে কয়েকজনের মরদেহ দেওয়া হবে। বুধবারের মধ্যে সবার মরদেহ হস্তান্তরের কাজ শেষ করার আশা করা হচ্ছে।

এদিকে নিহতদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা মরদেহ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য কাজ করছেন তারা। তবে এর আগে নিহতদের মৃত্যুর কারণ ও পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে কর্তৃপক্ষকে।’

মাইক বুশ জানান, গুলিবিদ্ধ ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পরদিন শনিবার নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনার জন্য প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন কিউই প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন। তিনি বলেন, ‘আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অস্ত্র নীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর আটক প্রধান সন্দেহভাজন ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে শনিবার ক্রাইস্টচার্চ জেলা আদালতে হাজির করা হয়। তাকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাকি দুজন এখনো পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রেন্টন ট্যারেন্ট অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মসজিদে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সরাসরি সম্প্রচার করেছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়।